বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। লিগের মধ্যবর্তী দলবদলে ক্লাবগুলোর সুযোগ ছিলো নিজেদের দলকে আরেকবার গুছিয়ে নেয়ার। মূলত বিদেশী খেলোয়াড় বদল করে ভাগ্য পরিবর্তন করাই এই দলবদলে দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য থাকে। তবে এই মধ্যবর্তী দলবদলে ব্যতিক্রম লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস। কোন বিদেশীতেই পরিবর্তন আনেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রবসন, মিগেল, ডরি ও ববুরবেগেই আস্থা রেখেছে বসুন্ধরার ক্লাবটি।
টেবিলের দুইয়ে থাকা মোহামেডান লিগের প্রথম পর্ব জুড়ে ছিলো আলোচনায়। বসুন্ধরা কিংসকে তাদের মাঠেই হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালো শিবির। বিদেশীদের নিয়ে সন্তুষ্ট দলটি দলকে আরো শক্তিশালী করতে যুক্ত করেছে বেখরুজ সাদিলোয়েভ’কে। ২৮ বছর বয়সী এই উজবেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার উজবেকিস্তানের শীর্ষ লিগের পরীক্ষিত পারফর্মার। তাকে জায়গা করে দিতে সাদা-কালো জার্সি ছাড়তে হয়েছে জাপানি মিডফিল্ডার উরু নাগাতা’কে।
এদিকে ঢাকা আবাহনী লিগের শুরুতে ধুকতে থাকলেও পরবর্তীতে নিজেদের সামলে নেয়। মধ্যবর্তী দলবদলের শুরুতেই তারা বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ও পোস্টারবয় জামাল ভূঁইয়াকে দলে যুক্ত করে। এছাড়াও দলের রক্ষণভাগের শক্তি বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ইভান্স’কে দলভুক্ত করেছে আকাশী-নীলরা। অস্ট্রেলিয়া অ-১৯ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা ইভান্স ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস ও হংকংয়ের প্রথম স্তর ও অস্ট্রেলিয়ার ২য় স্তরের ক্লাবে খেলেছেন।
মধ্যবর্তী দলবদলে পুরো বিদেশী লাইনআপই আবারো সাজাতে হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। কেননা বিদেশীদের থেকে প্রত্যাশিত পারফর্ম্যান্স পাচ্ছিলো দল দুটো। এমনও শোনা গিয়েছিলো, নতুন বিদেশী না আসলে দলই ছেড়ে যাবেন শেখ রাসেলের কোচ। কোচের চাহিদায় তাই দলের বিদেশীতে এসেছে পরিবর্তন। গিনিয়ান ফরোয়ার্ড সেকিউ সিল্লা, ইউক্রেনিয়ান সেন্টারব্যাক ভ্যালেরি স্টেপানেঙ্কো ও সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড ভোজিস্লাভ ভালাবানোভিচকে দলে নিয়েছে শেখ রাসেল কেসি। গিনিয়ান ফরোয়ার্ড সেকিউ সিল্লার মায়ানমারের শীর্ষ স্তর, ফিলিপাইনের শীর্ষ স্তর, ভারতের ২য় স্তর, ইন্দোনেশিয়ার ২য় স্তর খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইউক্রেনিয়ান ভ্যালেরি স্টেপানেঙ্কো খেলেছেন এস্তোনিয়া, মলদোভা, নর্থ মেসিডোনিয়ার মতো দেশে। আর ভোজিস্লাভ ভালাবানোভিচকে মনে করে বেশি দূর যেতে হবে না, এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার হয়ে দূরপাল্লার শটে গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে ঠিকই চিনতে পারবেন আপনারা।
শেখ জামাল ডিসি সেনেগালের ফরোয়ার্ড আবু তোরে, ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপ আদজাকে দলে নিয়েছে। এতে দলকে বিদায় জানাতে হয়েছে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হওয়া ব্লাদিমির দিয়াজ ও স্টেনলিকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিও দলের বিদেশীতে এনেছে পরিবর্তন। উজবেকিস্তানের জাভোখির সোখিবভ ও আজমাত আব্দুল্লায়েভকে দলে নিয়েছে দলটি। উজবেকিস্তান জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা জাভোখির সোখিবভ দেশটির শীর্ষ লিগের পাশাপাশি খেলেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও। আজমাত আব্দুল্লায়েভও শীর্ষ লিগের পাশাপাশি খেলেছেন উজবেকিস্তানের শীর্ষ লিগে।
এদের ছাড়াও চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে নাইজেরিয়ান স্যামসন আগোহা ও পল কোমোলাফে, ফর্টিস এফসি’র হয়ে নেপালি অঞ্জন বিস্টা, রহমতগঞ্জের হয়ে মিশরীয় মোস্তফা খারাবাকে মাঠে নামতে দেখা যাবে।