আরো একবার স্বপ্নভঙ্গ, আরো একবার শেষ মুহূর্তের গোলে হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়া! আগের লেগে যে ফিলিস্তিনের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সে ফিলিস্তিনকে ঘরের মাঠে চেপে ধরেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। একসময় অতিথিদের জালে গোল দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা, গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও ড্রয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়লো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। আক্রমণে সেভাবে সুবিধা করতে না পারলেও রক্ষণে ঠিকই আটকে রাখে ফিলিস্তিনকে। ম্যাচের ১২তম মিনিটে মোহাম্মদ রশিদের ফ্রী কিক ঠিক সামনে বল ড্রপ করলে ঠিকভাবে গ্লাভসে নিতে না পারলেও বিপদ হতে দেননি মিতুল মারমা। এর মিনিট ছয়েক পর ফিলিস্তিনের আরেক ফ্রী কিক বক্সের সামনে শট হলেও কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিতুল।
তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের সুবর্ণতম সুযোগ নষ্ট করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ৪৪তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার থ্রু পাস দুই ডিফেন্ডারের বাঁধা টপকে পেয়ে যান ফাহিম। কিন্তু গোলকিপারকে একা পেয়েও জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি তিনি। ফলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। আর তাই গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধেও আরো গোছানো ফুটবল খেলে ক্যাবরেরা বাহিনী। তবে ৪৮তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা দাবাগ। এর তিন মিনিট পর রাকিবের ক্রস ফাহিম পাওয়ার আগেই গোলকিপার সরাসরি ক্রসটি তালুবন্দী করে বিপদ হতে দেননি। ৫৭ ও ৬৫ মিনিটে ফিলিস্তিনের গোলের চেষ্টা সফল হতে দেননি মিতুল মারমা। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের একাদশে বদল আনে। জামালের জায়গায় মোহাম্মদ সোহেল রানা ও ফাহিমের বদলি নামে রফিকুল ইসলাম। ফিলিস্তিন এরপরও ৭৪ মিনিটে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। ওদে খারুবের শট সেভ করেন মিতুল মারমা।
পুরো ম্যাচে বাংলাদেশকে আগলে রাখা মিতুল মারমা ৮২তম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। সঙ্গে করে যেন বাংলাদেশের ভাগ্যটাও নিয়ে যান। ইনজুরি সময়ে মাহাজনা লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। তবে এই ঘটনায় ভেঙে না পড়ে উল্টো গোল আদায় করে নেয় অতিথিরা। কর্নার থেকে ইসলাম বারতানের হেডে বক্সে অরক্ষিত থাকা মিশেল তেরমানির গোল করতে কোনও সমস্যাই হয়নি। আর তাতে ২০০৬ সালের পর আবারও ফিলিস্তিনকে রুখে দেওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় স্বাগতিকদের। একইসঙ্গে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নিজেদের অপরাজেয় থাকার রেকর্ডও ভাঙ্গে।