শত আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্যাম্পে যোগ দিলো বাফুফে এলিট একাডেমির পাঁচ জন ফুটবলার। ফেডারেশন এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ না থাকার কারণে খেলোয়াড়েরা এতোদিন পেশাদার ফুটবল থেকে দূরে ছিলো। অবশেষে সেই সংকট দূর হওয়ায় হওয়ায় লীগের দ্বিতীয় পর্বে ব্রাদার্সের ক্যাম্প যোগ দিয়েছে এলিট একাডেমির নিলামকৃত ৫ জন খেলোয়াড়।
লীগের শুরুতে বাফুফে এলিট একাডেমির মোট দশজন খেলোয়াড়কে নিলামে তুলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নিলাম থেকে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, ফর্টিস এফসি এবং শেখ রাসেল মোট চারজন খেলোয়াড়কে দলে নিলেও বাকি ছয়জনকে দলে ভিড়িয়েছিলো ব্রাদার্স। বাফুফের শর্ত অনুযায়ী খেলোয়াড়দের নিলামকৃত অর্থ ৬০ শতাংশ বাফুফে পাবে এবং ৪০% শতাংশ খেলোয়াড় পাবে। বাফুফের এই শর্ত মোতাবেক নিলামে অংশ নেওয়া বাকি চারদল নিলামকৃত অর্থ পরিশোধ করলেও ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলোয়াড়দের নিলামের অর্থ টাকা পরিশোধ করে নি।
বাফুফের শর্তের বিপরীতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন অফিশিয়ালরা পাল্টা শর্ত দাঁড়া করায়। তারা জানায় খেলোয়াড়েরা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর নিলামকৃত অর্থ পরিশোধ করা হবে। অন্যদিকে বাফুফে জানায় ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রাদার্সকে অন্তত খেলোয়াড়দের ভাগের টাকা পরিশোধ করতে হবে। ফলে মতবিরোধের কারণে কোনো সমাধানের দেখা পাওয়া যাচ্ছিলো না।
এমতাবস্থায় খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন খেলোয়াড়দের ক্যাম্প যোগ দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারটিকে নির্বাহী কমিটির ভোটাভুটির উপর ছেড়ে দেন। নিবার্হী কমিটির উক্ত ভোটে খেলোয়াড়দের ব্রাদার্স ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর নিলামের ছয়জনের মধ্যে রুবেল শেখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেও বাকি পাঁচজন ব্রাদার্সের ক্যাম্পে যোগ। গতকাল দলের সাথে অনুশীলনেও অংশ নিয়েছিলো। ব্রাদার্সের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া পাঁচজন খেলোয়াড় হলেন- আজিজুল হক অন্তত, মিরাজুল ইসলাম, ইমরান খান, সিরাজুল ইসলাম রানা এবং সুমন সারেন।