দূর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো ঢাকা মোহামেডান। ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেলার মাত্র ২৬ সেকেন্ডে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে শেখ রাসেল কেসি’কে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে।
গোপালগঞ্জে শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিমের ম্যাচে ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নামে মতিঝিলের সাদা-কালো শিবিররা। কিন্তু খেলার শুরুতেই অবশ্য উল্টো ঘটনা ঘটে। কিক অফ থেকে বল নিজেদের পায়ে দেয়া নেয়া করতে শুরু করে শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ২৬ সেকেন্ডের মাথায় লেফট ব্যাক মনিরের করা একটি ক্রসে বক্সে থাকা সেকু সিল্লা হেড করে পরাস্ত করেন মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজনকে। এতে শুরুতেই এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।
ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে নিজেদের খোলস ছেড়ে বের হয় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। একের পর এক আক্রমন চালাতে থাকে দলটি। কিন্তু বার বারই বাধা হয়ে দাড়ান শেখ রাসেলের গোলরক্ষক মিতুল মার্মা। প্রথমার্ধে প্রায় তিন দফা মোহামেডানের সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ আটকে দেন এই গোলরক্ষক। তাছাড়াও কৃতিত্ব দিতে হয় শেখ দুই সেন্টারব্যাক গানিউ ও ভ্যালেরিকে, এই দুজনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হাফ শুরু করা মোহামেডানকে তারপরও অনেকটা সময় আটকে রাখে শেখ রাসেল। একটা পর্যায়ে মনেই হচ্ছিলো এই ১-০ ব্যবধানই গড়তে যাচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু ম্যাচের ৭১ তম মিনিটে মোহামেডান লিখতে শুরু করে প্রত্যাবর্তনের গল্প। আর সেই গল্পের শুরুটা মোহামেডানের চলমান মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় মোজাফফরব ব্যতিত আর কে বা করতে পারতেন। সানডের বাড়ানো বল বক্সে থাকা ডিয়াবাতে আলতো টোকায় সুন্দর সেট আপ তৈরি করে দেন। ডি বক্সের বাইরে থেকে সেই চিরচেনা মোজাফফরবের বুলেট গতির শট অবশেষে পরাস্ত করে মিতুল মারমাকে।
গোল দেয়ার পর শেখ রাসেলকে আরো চেপে ধরে মোহামেডান। শেখ রাসেল বিছিন্ন কয়েকটি আক্রমন ব্যতিত ডিফেন্সেই মনযোগী হয়ে উঠে। মোহামেডানের প্রত্যাবর্তনের শেষটা হয় ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে। মোজাফফরবের বাড়ানো একটি বল আরিফ রাইট উইং থেকে বক্সে ডুকে একটি মাটি গড়ানো ক্রস করলে গোলবারের সামনে সহজ সুযোগ পেয়ে যান বদলি নামা জাফর ইকবাল। তবে প্রথম দফায় তার নেয়া শট রাসেলের ডিফেন্ডার গানিউ প্রতিহত করলেও ফিরতি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সহজেই তা জালের ঠিকানায় পৌঁছে দেন জাফর। এতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা। এই জয়ে নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা মোহামেডান।