বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল)। দেশের উদীয়মান তরুণ ফুটবলারদের পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ স্তরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে এই লিগ। এর পাশাপাশি এই লিগে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হওয়া ক্লাবগুলোরও সুযোগ থাকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার। তাইতো দেশের ঘরোয়া ফুটবলে বিসিএলের গুরুত্ব অনেকটা অপরিসীমই বলা যায়।
চলতি মৌসুমে মাত্র ৮ দল নিয়ে মাঠে গড়ায় বিসিএল। তাইতো খুব দ্রুতই সমাপ্তির পথে এই লিগ। আর মাত্র ২ রাউন্ড পরই পর্দা নামবে চলতি মৌসুমের বিসিএলের। এখন পর্যন্ত ১২ রাউন্ড শেষ হয়েছে বিসিএলের। অর্থাৎ প্রতিটা দল খেলেছে ১২টি করে ম্যাচ। এদের মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে থেকে কারা আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক পয়েন্ট টেবিলে কার অবস্থান কোথায়।
এখন পর্যন্ত বিপিএল খেলার পথে সবচেয়ে এগিয়ে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। ১২ ম্যাচে ৭ জয়, ২ ড্র এবং ৩ হারে তাদের সংগ্রহ ২৩ পয়েন্ট। ১২ ম্যাচে সমান ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাব। সমান পয়েন্ট হলেও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। অপরদিকে শুরুতে ভালো শুরু করলেও শেষ দিকে এসে খেই হারিয়েছে পিডব্লিউডি। তাইতো বিসিএল থেকে বিপিএলে প্রমোশন পাওয়ার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ফকিরেরপুল, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স এবং পিডব্লিউডির মধ্যে ২ দলের প্রমোশন পাওয়া নিয়ে শেষ দুই রাউন্ডে তুমুল লড়াই চলবে। এবার দেখার পালা শেষ মুহূর্তে স্নায়ু চাপ সামলে কারা জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পরবর্তী মৌসুমে।
এদিকে বিসিএলে টিকে থাকার লড়াইও মোটামুটি জমে উঠেছে। ১২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই রেলিগেশন প্রায় নিশ্চিত উত্তরা এফসির। সমান ম্যাচে যথাক্রমে ১৩ ও ১০ পয়েন্ট নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করছে নোফেল ও ফরাশগঞ্জ।
এখন পর্যন্ত বিসিএলের শীর্ষ গোলদাতা ফকিরেরপুলের স্ট্রাইকার রাফায়েল টুডু। ১২ ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন তিনি। ৮ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন একই দলের ডালিম বর্মন। ৬ গোল নিয়ে তৃতীয় স্থানে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের ইমরান হোসেন পাপ্পু। আর সমান ৪ গোল নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের জাকির হোসেন এবং পিডব্লিউডির আসিফ মাহমুদ।
বিসিএলের শেষ দুই রাউন্ডে দারুন উত্তেজনা অপেক্ষা করছে ফুটবল প্রেমীদের জন্য। এবার দেখার পালা শেষ পর্যন্ত কারা জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমে। আর কারাই বা অবনমিত হয়ে নেমে যায় দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে।