বাফুফে এলিট একাডেমির জন্য প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করতে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাডেমিগুলোর মধ্যে বাফুফের নিবন্ধিত ১৬৯ টি একাডেমি নিয়ে আয়োজন করা হয় “বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪”। এই প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ে ভালো করে কোচদের নজর কাড়া ২০০ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় বাফুফে ন্যাশনাল ট্রায়াল। এবার সে ট্রায়ালে টিকে যাওয়া ২০০ জন থেকে বাফুফে এলিট একাডেমির ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছেন ৩৫ জন তরুণ ফুটবলার।
আজ (৩০ এপ্রিল) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় “বাফুফে ন্যাশনাল ট্রায়াল ২০২৪” এর চূড়ান্ত ট্রায়াল। দেশজুড়ে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই প্রথম ধাপে টিকে যাওয়া ২০০ জন আজ আবারো ট্রায়াল দেন। সেখান থেকে কোচদের মন জয় করে ইয়েস কার্ড পেয়েছেন ৩৫ জন। এদের মধ্যে গোলকিপার রয়েছেন ৫ জন। এই ৩৫ জন ফুটবলার বাফুফে এলিট একাডেমিতে যোগ দেবেন। এদিকে একাডেমিতে থাকা ২০ বছরের বেশি বয়সী ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাফুফে।
আজ চূড়ান্ত ট্রায়াল থেকে বাফুফে এলিট একাডেমির জন্য নির্বাচিত ফুটবলারদের হাতে ‘ইয়েস কার্ড’ তুলে দিতে মাঠে উপস্থিত হন বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য খন্দকার রকিবুল ইসলাম ও সাইফুর রহমান মনি, বাফুফে সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ প্রমূখ। তাদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন এলিট একাডেমির কোচ পিটার বাটলার, বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ইয়েস কার্ড পাওয়া ফুটবলাররা কমালপুর স্টেডিয়ামে এক মাসের বিশেষ ক্যাম্প করবেন। এরপর সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন তরুণ ফুটবলাররা। এ বিষয়ে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু জানান, আগামী এক মাস এই ফুটবলারদের বিশেষ ট্রেনিং করানো হবে। পজিশন ও নানা দিক বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত বাছাইয়ে যারা উত্তীর্ণ হবে তারাই বাফুফের এলিট একাডেমিতে থাকবে।