অনেক আলোচনা সমালোচনাকে পার করে আর্জেন্টিনার তৃতীয় সারির দল সোল দে মায়ো’তে যোগ দিয়েছিলো জামাল ভূঁইয়া। জামাল ভূঁইয়াকে বেশ ঘটা করে গ্রহণ করে নিয়েছিলো সোল দে মায়ো। তবে ৬ মাস কাটতে না কাটতে সম্পর্কে অবনতি ঘটে এবং তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
২০২৩-২৪ ফুটবল মৌসুমে আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়ো’তে যোগ দিয়েছিলেন জামাল। অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমে গোল করে চমক দেখিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। তবে ছয়মাস না পেরোতেই দুই পক্ষের সম্পর্কের অবসান ঘটেছে। জামাল নিজেই ক্লাব সাথে চুক্তি বাতিল করেন। চুক্তি বাতিল করে ফিফার শরণাপন্ন হন তিনি। ফিফা অবশেষে তার পক্ষে মত দিয়েছেন।
বিচারক আন্দ্রে দোস সান্তোসের রায় অনুসারে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা জামাল ভূঁইয়ার একাউন্টে প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামালের সাত মাসের বেতনের মূল টাকার সাথে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট হিসেবে ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি নিয়ম ভঙ্গের জন্য ৫ শতাংশ ইন্টারেস্টসহ বাংলাদেশী টাকায় আরো ৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারে সোল দে মায়ো ফিফার নিজেদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের পক্ষে কোনও ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। তবে এমন রায়ের পর আর্জেন্টাইন ক্লাবটি আপিল করার জন্য ১০ দিন সময় পাচ্ছে। আর্থিক বিষয়গুলো আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তিন মাস স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে।
রায় পেয়েছে আনন্দ প্রকাশ করেছেন জামাল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আমি অনেক আশা নিয়ে আর্জেন্টিনার সোল দে মায়াতো খেলতে গিয়েছিলাম। ছিলামও অনেক দিন। কিন্তু ওরা আমাকে কোনও টাকা পয়সা দেয়নি। তাই চুক্তির মাঝ পথে সেটি ছিন্ন করে চলে আসতে হয়েছিল। এসেই ফিফার কাছে অভিযোগ করি। এখন রায় পেয়ে আমি অনেক খুশি।”
তিনি আরো বলেন, “আসলে ওরা এমন করবে তা চিন্তাও করিনি। যখন টাকা পয়সা পাইনি। এই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও অব্যবস্থাপনা থেকে সেটি ভঙ্গ করে চলে এসেছি। এসে ওদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি। ফিফায় আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ে করে অবশেষে রায় পেয়েছি।” বর্তমানে আবাহনীর শিবিরে আছে জামাল।