বাংলাদেশের ফুটবলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হামজা চৌধুরী ইস্যু। কবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাবেন হামজা? কবে খেলবেন লাল সবুজের জার্সিতে? এসব প্রশ্ন-আলোচনায় সয়লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এবার বাফুফে দিয়েছে সুখবর। হামজার সঙ্গে মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতের ব্যাপারেও সুখবর দিয়েছে বাফুফে।
লেস্টার সিটির তারকা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করার পর থেকেই তাকে পাওয়ার অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন সমর্থকরা। তবে গত সপ্তাহে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্ট করতে গিয়ে হামজার বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার ঘটনায় হতাশ হয়েছে সবাই। তবে এবার সুখবর মিলেছে। বাফুফের হস্তক্ষেপে হামজার পাসপোর্ট প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় লেস্টার সিটির এখন কোন খেলা নেই। তাই সপরিবারে ছুটি কাটাতে তুরস্কে যাবেন হামজা। সেখান থেকে ফিরে আবারো পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন তিনি। বাফুফে থেকে ইতোমধ্যে হাই কমিশনে যোগাযোগ করে তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করেছে। জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হামজাকে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সেপ্টেম্বরে তাকে পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বাফুফে। এ ব্যাপারে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন,
‘আমরা সেখানকার দূতাবাসে যোগাযোগ করেছি। রাষ্ট্রদূত নিজে হামজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
হামজার সঙ্গে মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে নিয়েও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাফুফে। দিয়াবাতে আগেই বাংলাদেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে মোহামেডানে খেলছেন তিনি। যেকারণে সমর্থকদের চাওয়া, দিয়াবাতেকে দিয়ে বাংলাদেশের গোল খরা হয়তো কাটতে পারে। বাফুফেও তার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। যা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক,
‘দিয়াবাতের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তার কাছ থেকে জানার ছিল যে, সে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারবে কিনা। সে বলেছে পারবে। এখন আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যাতে তার বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়টা সঠিকভাবে জানতে পারি। ফিফার আবেদনের জন্য এটা অন্যতম একটি কারণ।’
এর আগে ২০২১ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে। কিন্তু তার ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় নাগরিকত্ব পেতে দেরি হয়েছিল। দিয়াবাতের ক্ষেত্রে তেমনটা না হলে দ্রুতই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন তিনি। এবার দেখা যাক শেষ পর্যন্ত দিয়াবাতের ব্যাপারে বাফুফের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়।