বাংলাদেশের ‘হোম অফ ফুটবল‘ হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই নিজেদের দাপ্তরিক কাজকর্ম পরিচালনা করে আসছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফিফার অর্থায়নের ফেডারেশনের জন্য ভবন নির্মাণের জন্য শর্ত ছিল জমির মালিকানা বা স্বত্ব নিশ্চিত করে, এমন লিখিত কাগজ থাকতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২৫ বছরের জন্য মতিঝিল ঝিলপাড় এলাকায় ৩৩ শতাংশ জায়গা বাফুফের অনুকূলে দিয়েছিল। যেখানে ফিফার অর্থায়নে ২০০১ সালে বাফুফে ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এবার সে জায়গার জন্য আরো ৫০ বছরের ইজারা পেল বাফুফে! বাফুফে ও ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে নতুন সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ২০৭৪ সাল পর্যন্ত বাফুফে ভবন থাকছে মতিঝিলেই।
২০০১ সালে মতিঝিলে অবস্থিত বাফুফে ভবনের জায়গা বরাদ্দ দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। পরবর্তীতে কয়েক বছরের মধ্যে ফিফার অর্থায়নে ভবন নির্মিত হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে সেসময় ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ পত্র দেওয়া হলেও জমির দলিল কিংবা লিজ সংক্রান্ত কিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অবশেষে আজ ৫০ বছরের জন্য ১০০ টাকা স্টাম্পের ওপর লিজ আকারে জমির দলিলের কাগজাদি বুঝে পেয়েছে বাফুফে। এই চুক্তির আলোকে কিছু শর্তের মাধ্যমে আজ থেকে নতুন করে আগামী ৫০ বছর মতিঝিল আরামবাগস্থ বাফুফে ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। শুধু ভূমি ব্যবহারকারী হিসেবে কর ও অন্যান্য বিষয়াদি বাফুফেকেই বহন করতে হবে।
ইজারা পাওয়া প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘এতদিন পর আমরা ভবনের জমি ৫০ বছরের জন্য লিজ পেয়েছি। আগে কোনও দলিল বা লিজ পাওয়া যায়নি। চিঠির ওপর ভিত্তি করে কাজ চলছিল। এখন লিজের দলিল পাওয়ায় আমাদের ফিফা-এএফসির অনেক আনুষ্ঠানিকতা ও সাহায্য পেতে সহজ হবে। পাশাপাশি কোনও স্থাপনা সম্প্রসারণ বা নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রীয় অনুমোদনও সহজে মিলবে।’