দীর্ঘ তিন মাস পর আবারো মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। জামাল-তপুদের প্রতিপক্ষ ভুটানে। আগামীকাল ভুটানের মাটিতেই লড়াইয়ে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম প্রীতি ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচকে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হিসেবে মনে করছেন জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। এর কারণ হিসেবে তিনি চলমান ঘরোয়া লীগের পাশাপাশি ভুটানের সামগ্রিক আবহাওয়াকে দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো আমরা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে নেই, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও আমাদের সময় লেগেছে, কিন্তু, আগামী মার্চে যেটা আসছে, পরের বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে, এগুলোর জন্য এই উইন্ডো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুবই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।”
ভবিষ্যতের অফিশিয়ালে টুর্ণামেন্টকে সামনে রেখে ভুটানের বিপক্ষে এই দুইটি ম্যাচকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। তাই যে করেই হোক দুইটি ম্যাচই জিততে চান তিনি, কারণ এখানে দল জয়ের জন্য এসেছে-“অবশ্যই এখানে আমরা দুটো ম্যাচ জয়ের জন্য এসেছি। তবে আমাদের আগামী বছরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের উইন্ডো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অফিসিয়াল টুর্নামেন্টগুলোই আসল, যেগুলো আগামী মার্চে শুরু হবে এবং এ কারণে ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলোসহ বাকি দুই উইন্ডোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।”
জাতীয় দলে প্রথমবারের জন্য ডাক পেয়েছে মিরাজুল ইসলাম এবং সাকিল আহাদ তপু। তাদের জন্য এই দুইটি ম্যাচ নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে বলে জানান ক্যাবররা। তার মতে এইরকম প্লাটফর্মই তাদের নিজেদেরকে মেলে ধরার জন্য ভালো একটা জায়গা। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, কয়েক সপ্তাহ আগে অনূর্ধ্ব-২০ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওই স্কোয়াডের কয়েকজন খেলোয়াড় এই দলে যোগ দিয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন আগেও আমাদের সঙ্গে ছিল, তারা জাতীয় দলের আবহটা জানে। নতুন দুজন যোগ হয়েছে। ফিফা উইন্ডোতে এ ধরণের প্রীতি ম্যাচ তাদের জন্য ইতিবাচক। আমি মনে করি, তাদের জন্য এটাই মেলে ধরার মঞ্চ।”