ভুটানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করলো বাংলাদেশ। আজ চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচে তেমন একটা ভালো কিছু না পারলেও ম্যাচ শেষে ১-০ গোলের জয় পায় জামাল ভূঁইয়ার দল।
৬ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন শেখ মোরসালিন। মাঠের ডানপ্রান্ত হতে রাকিব হোসেনের ক্রস থেকে আসা বলকে নিজের হাত তালুবন্দি করতে আসলে ভুটানের গোলরক্ষক তেসরিঙ ধ্যানদুপের হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায়। এতে করে সামনে থাকা মোরসালিনের কাছে গোলের সুবর্ণ সুযোগ চলে এবং সেখান থেকেই গোলটি করেন মোরসালিন।
ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও খেলা তেমন আধিপত্য বিস্তার করতে পারছিলো না বাংলাদেশ। আক্রমণ এবং রক্ষণভাগ দুই ক্ষেত্রেই ছিলো হযবরল অবস্থা। সমানুপাতিকভাবে ভুটানও নিজেদের এতোটা মেলে ধরতে না পারায় ম্যাচে তেমন বড় কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মাঠের ভেতরে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। পেশিতে টান পড়ার কারণে মাঠের মধ্যে বসে পড়েন বাংলাদেশ দলের উইঙ্গার রাকিব হোসেন। তখন তাকে বয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে স্ট্রেচার নিয়ে একদল স্বেচ্ছাসেবী ছুটে আসে;তখনই ঘটে অঘটন। হঠাৎ করে মাঠের ভেতরে স্বেচ্ছাসেবী দলের একজন চেতনা হারিয়ে ফেলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়, কিন্তু তাতে কোনো ফল না আসায় পরবর্তীতে তাকে এম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিরতিতে থেকে ফিরে ৫০ মিনিটের সময় বাংলাদেশের জালে বল পাঠায় ভুটান, তবে অফসাইডের কারণে সেই গোলটি বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই ছন্নছাড়া খেলা উপহার দেয় দুই দল। ম্যাচে চেনচোর অভাব ভালোই বুঝতে পেরেছে ভুটান। বাংলাদেশের নড়বড়ে রক্ষণের বিপক্ষে ভালো কোনো আক্রমণ তৈরি করতে পারে নি তারা। তবে দলে যদি চেনচো থাকতো তাহলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ভুটানের গোলকিপারকে বড় পরীক্ষার মুখে দেয় বাংলাদেশ দলের তরুণ ফুটবলার রাব্বী হোসেন রাহুল। মাঠে বামপ্রান্ত হতে আক্রমণ তৈরি করে বক্সের সামনে থেকে ডানপায়ের বাঁকানো এক দুর্দান্ত শট নেন তিনি, ভুটানের গোলরক্ষক বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক সেভ দিয়ে ভুটানকে গোলের হাত থেকে বাঁচান গোলরক্ষক ধ্যানদুপ। কিন্তু হার এড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যাবররার শিষ্যরা।