বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একচ্ছত্র আধিপতি কাজী সালাউদ্দিন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আড়ালে থেকে ছড়ি ঘুরিয়েছেন পুরো ফুটবল অঙ্গনে। তার এই ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ বেশী ঘটেছে বাফুফে নির্বাচনে। সালাউদ্দিন প্যানেলের বিপক্ষে যে-ই নির্বাচনে দাঁড়াতো সেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পেতো হুমকি ধামকি।
স্বৈরাচার সরকার ছত্রছায়ায় থেকে কাজী সালাউদ্দিনও তার ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বাফুফেতে। করেছেন একক আধিপত্য বিস্তার। ২০২০ সালের নির্বাচনে বাদল রায়কে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনেও ছিলো সালাউদ্দিনের হাত। ক্ষমতাবলে সালাউদ্দিন নিজেও হয়ে উঠেছিলেন স্বৈরাচার। স্বৈরাচার সালাউদ্দিনে বিপক্ষে কেউ দাঁড়ানোর অর্থই হলো সেখানে কেউ থাকতে পারবে না।
বাদল রায়কে সরানো হলেও শেষ পর্যন্ত শফিকুল ইসলাম মানিক। তবে বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাধা পান তিনি। এই প্রসঙ্গে মানিক বলেন, “গত নির্বাচন তখনই তার স্বচ্ছতা হারায়, যখন আমি নমিনেশন পেপার সাবমিট করার পর আমার কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোনকল আসতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং এএসআইয়ের কাছ থেকেও ফোনকল আসে। এইগুলো আমি এড়িয়ে যাই অথবা কোনোভাবে মানিয়ে নিই। এই যে প্রেশার যাদের ক্ষমতা থাকে তারা তখন বসে যায়, আমি হয়তো পিছুপা হয় নি। তবে তারা বাদল রায়কে নিয়ে যেটা করেছে তা অপ্রত্যাশিত। ”
এবারের নির্বাচনেও তিনি অংশগ্রহণ করতে চান। এই প্রসঙ্গে এক ভিডিওবার্তায় মানিক বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমি আবারো অংশগ্রহণ করবো। আমি ফুটবলের জন্য কাজ করতে চাই। আমি আমার এতো বছরের অভিজ্ঞতা কোনো ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় কিনা সে চেষ্টা করবো।”
সাবেক ফুটবলারা খুব শীঘ্রই নিজেদের প্যানেলে প্রকাশ করবেন বলে জানান মানিক। তার মতে প্যানেলের সদস্যরা অনেক অভিজ্ঞ। তিনি বলেন, “বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই প্যানেল প্রকাশ করা হবে; সেই প্যানেলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ফুটবলার এবং সাবেক ফুটবলাররা থাকবে।”
বাফুফের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৪ বছর। আগামী অক্টোবরে শেষ হবে বর্তমান নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। তবে মেয়াদ ৩ রা অক্টোবর শেষ হলেও গত জুলাইতে প্রতিবন্ধকতার কারণ দেখিয়ে অক্টোবরে নির্বাচন করার জন্য ফিফার কাছে আবেদন জানিয়েছিলো বাফুফে। বাফুফের সেই আবেদন মঞ্জুর করলে ঠিক করা হয় ২৬ শে অক্টোবর বাফুফের পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।