এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রস্তুতি, লক্ষ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আজ কিছুটা হতাশা নিয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ট্রফি নিয়ে ফেরা মারুফুল হক বলেন,

‘১৬ আগস্ট এখানে সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলাম চ্যাম্পিন হতেই যাচ্ছি। আজ এই মুহুর্তে সেই কণ্ঠে বলতে পারছি না আমরা কোয়ালিফাই করব। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছ।’

সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নই ছিলো বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় না ছাড়া ইস্যু নিয়ে। কোচ মারুফুল হক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন, কিছু এড়িয়ে গেলেন। লক্ষ্যের প্রশ্নে নানা প্রতিকূলতা তুলে ধরে শুধু বললেন, ভালো ফলের চেষ্টা করবে তার দল।

বয়সভিত্তিক এই দলে কিংসের ছয় জনকে চেয়েছিলেন মারুফুল। এদের মধ্যে রাব্বী হোসেন রাহুলের চোট রয়েছে, মজিবুর রহমান জনি অসুস্থ। চন্দন রায় ও রিমন হোসেনকে পরে ছাড়তে চেয়েছিল তাদের ক্লাব। মোহাম্মদ আসিফ ও মহসীন আহমেদ ক্যাম্পে যোগ দিলেও দুদিন অনুশীলনের পর তাদেরকে ক্লাবে ফিরে যেতে বলেন মারুফুল। শেষ পর্যন্ত কিংসের খেলোয়াড় ছাড়াই দল ঘোষণা করেন তিনি।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর খেলোয়াড়দের এক সঙ্গে পাননি মারুফুল। কয়েকজন গিয়েছিলেন ভুটানে সিনিয়র জাতীয় দলের সঙ্গে। ভুটান থেকে ফিরলেও বসুন্ধরা কিংসও চারজন খেলোয়াড় ছাড়েনি। বসুন্ধরা কিংস চার জন খেলোয়াড় না ছাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কোচ মারুফও কিংসের অন্য দুই জন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েছেন।

ক্লাব ছাড়াও আরেক বাঁধা ডেঙ্গু। কোচ মারুফুল হক বলেন,

‘৭ জন খেলোয়াড় ডেঙ্গু আক্রান্ত। ১২-১৩ জন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। জাতীয় দলে আমাদের চার জন খেলোয়াড় ছিল, ওরা ফিরে আসার পর আমাকে জানানো হয়েছিল, ওদের তিন দিনের ছুটি দেওয়া হবে। যারা বসুন্ধরা কিংসের ছিল, তাদের ক্লাব তিন দিনের ছুটি দিয়েছিল। আমরাও তাদের যে দুজন খেলোয়াড় ছিল, তাদেরও ছুটি দিয়েছিলাম। কথা হয়েছিল, যাদের প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে, তারা ১৩ তারিখে সবাই যোগ দিবে। ওরা যোগ দিতে পারেনি, এটা ক্লাবের পলিসি। আমি পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড পেয়েছি তিন দিন হলো।’

২৯ আগস্ট নেপাল থেকে ফিরলেও তিনি ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর মাত্র তিন দিন পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন করতে পেরেছেন। তাই সাংবাদিকের কাছে আক্ষেপপূর্ণ মন্তব্য,

‘আপনারা ফুটবল নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। একটি টুর্নামেন্টের জন্য কতদিন সময় প্রয়োজন সেটা আপনারাও জানেন। এটা ক্রিকেট বা অন্য খেলা নয় যে এক দিন আগে এসে বা খেলার দিন এসে খেলে গেল। একটা ভালো টুর্নামেন্টের জন্য সাত দিনও পূণাঙ্গ না অনেক ক্ষেত্রে।’

দল গুছিয়ে বৃহস্পতিবার ভিয়েতনাম যাচ্ছেন মারুফুল। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিরিয়া, ভিয়েতনাম, ভুটান ও গুয়াম। প্রথম ম্যাচ সিরিয়ার বিপক্ষে, ২১ সেপ্টেম্বর। ১০ গ্রুপের ১০ চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে পাঁচ রানার্স আপ খেলবে। পূর্ণাঙ্গ দল পেলে মারুফুল হক জোর গলায় পরের রাউন্ডে যাওয়ার কথা বলতে পারতেন। পরিবর্তিত অবস্থার প্রেক্ষিতে চেষ্টার কথা অবশ্য বলেছেন,

‘আমার খেলোয়াড়রা অবশ্যই চেষ্টা করবে ও সেরাটা দিবে।’

Previous articleনতুন চ্যালেঞ্জের সামনে টিটুর শিষ্যরা!
Next articleস্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় বিমল করের মৃত্যু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here