বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর আরো এক ধাপ সামনে পৌছে গিয়েছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের করা আবেদনে সাড়া দিয়েছে ইংল্যান্ড এফএ। সপ্তাহ তিনেক অপেক্ষার পর বাফুফেকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে তারা।
কিছুদিন আগেই বাফুফে ও তার পরিবারের যৌথ প্রচেষ্টায় পাসপোর্ট করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিস্টার সিটির খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর। বাংলাদেশি পরিবারে জন্ম নেয়া হামজ নিজের ইচ্ছায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে আগ্রহী হন। এর আগে হামজা ইংল্যান্ড যুব দলের হয়ে খেলেছেন। কোনো দেশের যুব দলের হয়ে খেলার কারণে তাদের ফেডারেশনের অনুমতি প্রয়োজন হয় অন্য দেশের জার্সি গায়ে তোলার ক্ষেত্রে। বাফুফে পাসপোর্ট হওয়ার পর ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের কাছে হামজার জন্য অনাপত্তিপত্র চায়। ইংল্যান্ড এফএ বাফুফের আবেদন বিশ্লেষণ করে হামজাকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
বাফুফে এখন হামজাকে বাংলাদেশে খেলানোর জন্য ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করেছে। পাসপোর্ট, ইংল্যান্ড ফুটবল এসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র চিঠিসহ আরও কিছু কাগজপত্র নিয়ে এই আবেদন করেছে বাফুফে। ফিফা প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সবুজ সংকেত দিলেই হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন,
হামজা চৌধুরীকে নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি; অনেকদিন ধরে কাজ করছি। যেহেতু হামজা চৌধুরী ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছে তাই তার প্রক্রিয়াটা আলাদা। সে ইতিমধ্যে আমাদেরকে এনওসি দিয়েছে এবং সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহী। তার এনওসি চিঠি নিয়ে আমরা ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশনের কাছে আবেদন করেছি। এরপর ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশন আমাদের এনওসি দিয়েছে এবং আমরা ফিফাকে সেই এনওসি পাঠিয়ে আবেদন করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ নিয়ে তিনি বলেন,
ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি আছে। ওদের অনুমতি পেলে হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবে।প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে নির্দিষ্ট করে কতদিন লাগবে তা নিয়ে অবগত না থাকলেও আশা করছি একমাসের ভিতরে কাজ হয়ে যাবে। যদি তাদের অতিরিক্ত কোনো নথি লাগে তারা আমাদের জানাবে তখন আমরা সেই প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত নথিগুলো তাদের কাছে পাঠাবো। আমরা আশাবাদী।