হারার আগে হেরে যায় না রিয়াল মাদ্রিদ। এমন ঘটনা আরো একবার ঘটলো দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক ফুটবলে। তবে সেটা রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে নয়, সেই ঘটনা ঘটেছে লাল-সবুজের বাংলাদেশের সাথে। সাফ অ-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানে বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পনেরো মিনিটের চমকে ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে গ্রুপ পর্বে কোনো জয়ের স্বাদ পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিনা জয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসে তারা। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমদিকে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে ম্যাচে ফিরে আসে। ২-২ গোলে রেগুলেশন টাইমের খেলা ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে এবং সেখান থেকে জয় তুলে নেয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
৩২ মিনিটে সুবহান করিমের কর্ণার কিক থেকে হেডে গোল শাহেব আহমেদ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় গোলটি আসে ম্যাচের ৬১ তম মিনিটে, মোহাম্মদ তালহা বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকতে গেলে বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার সিয়াম অমিতের হাতে বল লাগে। এর ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় পাকিস্তান। পেনাল্টি থেকে নির্ভুল শুটে গোল আদায় করে নেন আব্দুল রহমান।
ম্যাচের পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের প্রাণপণ চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ দল। ৭৪ মিনিটে সেই সুযোগ চলেও আসে বাংলাদেশের কাছে। তবে মোহাম্মদ মানিকের গোলমুখে করা শুট কর্ণার বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেয় পাকিস্তানের গোলরক্ষক কাসিফ। পরবর্তীতে সেই কর্ণার কিক থেকে ভাগ্য খুলে বাংলাদেশের এবং গোল শোধ করে। বাংলাদেশের হয়ে গোলটি করে মোহাম্মদ মিঠু চৌধুরী।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে সমতাসূচক গোলটিও করে ফেলে বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে সতীর্থের পাস থেকে বল জালে পাঠান মোহাম্মদ মানিক। এতে করে ২-২ এ শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।
নির্ধারিত সময় শেষে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে দুইদলের খেলোয়াড় একের পর এক নির্ভুল শুটে গোল পেতে থাকে। নির্ধারিত প্রথম পাঁচটি শুটে প্রতিটি শুটই সফলভাবে নেয় দুইদল। পরের দুইটিতেও কোনোরকম কোনো ভুল করে নি উভয়ে। এতে করে ফলাফল দাঁড়ায় ৭-৭ এ। তবে অষ্টম শুটে আটকে যায় পাকিস্তান। আব্দুল গণির শুট ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক নাহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশের হয়ে শুট করতে আসেন আশিকুর রহমান। সেখানে কোনো ভুল করেন নি আশিক; গোল করে বাংলাদেশকে জয়ে বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। ফলে টাইব্রেকারে ৭-৮ এর ব্যবধানের জয় দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অ-১৭ ফুটবল দল।