আগামী ২৬ শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানান তোড়জোড়। আজ ৩০ শে সেপ্টেম্বর ছিলো ডেলিগেটদের নাম জমাদানের শেষদিন। সেই কর্মসূচিও সম্পন্ন হয়েছে। দুইজন ডেলিগেট বাদে বাকি ১৩৭ জন ডেলিগেটদের নাম বাফুফেতে জমা পড়েছে।

নাম জমা পড়লে তৈরি হয়েছে বির্তক। বেশ কিছু জেলার ফুটবল এ্সোসিয়েশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক আলী ইমাম তপন। অভিযুক্ত কমিটি গুলো হলো- ঢাকা জেলা ও বিভাগীয়, লালমনিরহাট জেলা, গোপালগঞ্জ জেলা কমিটি। তিনি বলেন, “ঢাকা জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন গত বিশ বছর ধরে হয়নি। তাদের কোনো কমিটিও নেই, অনেক আগেই তাদের কমিটির মেয়াদউর্ত্তীণ হয়েছে।”

আলী ইমাম ক্যামেরার সামনে বেশ খোলাখুলিভাবে কথা বলেছেন। নিজের অভিযোগ তুলেন ধরেছেন দৃঢ়ভাবে। তার মতে অভিযুক্ত কমিটি গুলো ফুটবলকে নিয়ে বাণিজ্য করেছে। তিনি বলেন, “তারা ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর। ফুটবলকে নিয়ে যে বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তারা সেই লোভ সামলাতে পারেন নি। একজন ব্যক্তি কিভাবে ঢাকা জেলা ও ঢাকা বিভাগ দুই কমিটির সভাপতি হতে পারে এবং সেই ব্যক্তি কোনো মিটিং ছাড়া, কোনো রেজুলেশন ছাড়া নিজের পদের আসীন থাকতে পারেন।”

তবে অভিযোগ থাকলেও বাফুফে এইসব বিষয় নিয়ে যাচাই বাছাই করবে। যাচাই বাছাই থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাফুফের নির্বাহীর সভায় ভোটারদের তালিকা উত্থাপন করা এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিশ্চায়ন করা হবে।

১৩৭ জন কাউন্সিলর তালিকার মধ্যে ৬২ জেলা এবং বিভাগ থেকে ৮ জনের নাম এসেছে। এখানে মামলার কারণে নাম জমা পড়েনি যশোর ও সাতক্ষীরার কাউন্সিলের নাম। এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ থেকে ১০ জন, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ থেকে ৫ জন, প্রথম বিভাগ থেকে ১৮ জন, দ্বিতীয় বিভাগ থেকে ৮ জন, তৃতীয় বিভাগ থেকে ৮ টি, নারী লীগ থেকে ৪ জন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ জন, শিক্ষাবোর্ড থেকে ৫ জন কোচেস এসোসিয়েশন থেকে ১ জন, রেফারিজ এসোসিয়েশন থেকে ১ জন এবং মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ১ জনের নাম জমা পড়ে।

Previous articleঅ-১৭ সাফঃ ভারতের কাছে হেরে রানার্স আপ বাংলাদেশ!
Next articleহামজার জন্মদিনে ফিফার বার্তা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here