আজ ৫ ই অক্টোবর বিকালে অভিভাবককের হাত ধরে বসুন্ধরা কিংসের অনুশীলন মাঠে একে একে জড় হতে থাকে ক্ষুদে ফুটবলাররা। পেশাদার ফুটবলার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কিংসের অনুশীলন মাঠে হাজির হয় বয়সভিত্তিক পর্যায়ের তিন ক্যাটাগরির মোট ৭০ জন শিক্ষানবিশ। এই ৭০ জনকে নিয়ে আজ থেকে পথচলা শুরু করেছে বসুন্ধরা কিংস একাডেমি।
দেশের ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের পদার্পণের পর থেকে দেশের ফুটবল অঙ্গনে যুক্ত হচ্ছে একের পর এক নতুনত্ব। সেই নতুনত্বের শুরুটা হয় নিজেদের মাঠ তৈরি করে, এরপর মাঠে ফ্লাড লাইটের ব্যবহার কিংস অ্যারেনাকে নিয়ে যায় নতুন এক পর্যায়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নিজেদের একাডেমির কার্যক্রম শুরু করেছে ক্লাবটি।
নিজেদের একাডেমি নিয়ে আশাবাদী বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান। তিনি মনে করছেন এই একাডেমির খেলোয়াড়রাই একসময় বসুন্ধরা কিংসের মূল দলে খেলবে,
“এই একাডেমি চালু করা আমাদের স্বপ্ন বলতে পারেন। যদিও এখনই পূর্ণাঙ্গ একাডেমি বলা যাবে না। তার পরও যাত্রা শুরু হলো। আমরা আশাবাদী, এখানে যারা অনুশীলন করবে তারা একসময় বসুন্ধরা কিংসের মূল দলেও সুযোগ পাবে।”
বয়সভিত্তিক তিনটি ক্যাটাগরিতে একাডেমির যাত্রা শুরু হয়েছে। বয়সের ক্যাটাগরি গুলো হলো- ৬ থেকে ১১ বছর, ১১ থেকে ১৫ বছর এবং ১৫ থেকে ১৮ বছর। একাডেমির মাসিক বেতন ৬ হাজার টাকা, তবে ভর্তি হতে প্রথমেই লাগবে ১০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে দরিদ্র প্রতিভাবান ফুটবলারদের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বসুন্ধরা কিংস। ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতে ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম চালিয়ে ক্ষুদে ও কিশোর বয়সী প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের কাজও করবে এই একাডেমি। বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান বলেন,
“শুধু ঢাকা না, আটটি বিভাগীয় শহরে ট্যালেন্ট হান্ট করব। সেখানে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাই তাহলে তাদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে আমাদের একাডেমিতে সুযোগ করে দেব। যখন আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে তখন তাদের নিয়ে আসা হবে।”
বর্তমানের অনাবাসিকভাবে একাডেমির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আবাসিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন জানিয়েছেন ইমরুল হাসান,
“আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে অনাবাসিক রেখেছি। যদিও আবাসিকের জন্য সাড়া বেশি ছিল। আমরা হয়তো ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে আবাসিকে যাব।”