সাফের লড়াই লড়তে বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানে বিপক্ষে মাঠে নামবে সাবিনা-সানজিদারা। গতবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয় পেয়েছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গতবারের মতো এবারেও তাই আশাবাদী বাংলাদেশ।
অংশগ্রহণকারী সকল দলকে সমীহের চোখে দেখছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার মতে এবারের দলগুলো আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং ম্যাচগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে বাংলাদেশ দলও মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করবে বলেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, “গত সাফের থেকে এবারের সাফে যে সাতটা দল এসেছে, তারা শক্তিশালী। সবগুলো ম্যাচই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। গতকাল আমরা পুরোটা সময় ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখলাম, সামনে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলব, ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কেননা, আমি মনে করি, গত সাফের চেয়ে পাকিস্তান অনেকটা উন্নতি করেছে।আমরাও প্রস্তুত। আমরাও তাদের থেকে কম নই। আমাদের যে খেলা, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।”
আগামী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তাই এখন পাকিস্তানের দিক মূলত নজর রাখছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষের ভালো খারাপ দুই দিক নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু, “আমরা পাকিস্তানের খেলা দেখেছি, পাকিস্তানের খেলার ভিডিও ক্লিপও আমরা সংগ্রহ করেছি এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। পাকিস্তান দলের দুর্বল এবং সবল দুইটি দিকই আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। আমরা দলের সকলেই সুস্থ আছে; দুই একজনের হয়তোবা আবহাওয়া জনিত সমস্যা আছে যেটা এতোটা বড় ব্যাপার নয়। আমি আশা করি যে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের মেয়েরা ভালো খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি, যেনো আমরা যে লক্ষ্যে এসেছি সেই লক্ষ্যে যেতে পারি। প্রতিটি ম্যাচে আমরা ভালো করতে চাই। প্রথম ম্যাচে জয় পেলে হয়তোবা আমরা সেমিফাইনালে চলে যাবো।”
গত মৌসুমে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলাদেশ দল। সেবার নেপালের মাটিতে নেপালকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিলো সাবিনারা। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলো সেই স্মৃতি অমলিন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে এবারের মৌসুমে বাংলাদেশ দল ভালো করতে চায় বলে জানান দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা। তার মতে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সফলতা সম্ভব এবং দলের খেলোয়াড়রা সেটাই করবে।
বাংলাদেশ দলের আক্রমণ ভাগ বেশ পরিক্ষিত এবং শক্তিশালী। গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে আছেন তহুরা খাতুন, সানজিদা আক্তার, এর পাশাপাশি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করা সাগরিকাও কম নয়। নিজেদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা বেশ উপভোগ করেন বলে জানান ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, “আগেও বলেছি, আমাদের সবার মানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। যে যে পজিশনেই খেলুক, সবাই সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমরা তো ওই পজিশন ধরে রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।”