আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এসেছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এবং দেশের ফুটবল নিয়ে আলোচনা করতে এখানে এসেছিলেন তিনি। আধ ঘণ্টার একটু বেশি সময় বাফুফে ভবনের তার প্রথম সফর ছিল মূলত সৌজন্যমূলক।
ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম বাফুফে ভবনে আসলেন তিনি। এর আগে বেশ কয়েকবার বিসিবিতে গেলেও এই প্রথম বাফুফেতে এসেছেন আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। ক্রীড়া উপদেষ্টা বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে পাশে রেখে বলেন,
‘বিসিবিতে গিয়েছিলাম। বাফুফে নির্বাচন চলছে। এ নিয়ে অনেক কিছুই শুনছি, অভিযোগও আছে। এজন্য আজ বাফুফেতে আসা। এ নিয়ে কথা বললাম।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাফুফে নির্বাচনই প্রথম। এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সন্দিহান খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা,
‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় এ নিয়ে আমি সন্দিহান। আগের অনেক কাউন্সিলরই এখানে রয়েছেন। যাদের অনেকে পলাতক ও আসামী এ রকমটা শুনেছি। ফিফার বাধ্যবাধকতা, বাফুফের নিয়মের দিকে সম্মান রাখতে হচ্ছে।’
জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোর উপর বিরক্তই মনে হলো আসিফ মাহমুদকে। নিয়মিত জেলা পর্যায়ে লিগ জেলা লিগ না হওয়ার দায় দিলেন বাফুফেকেই,
‘ভোট আসলেই ডিএফএগুলো সরব হয়। নিয়মিত জেলা পর্যায়ে লিগ হয় না। এরকমটাই শুনেছি। এর দায় যারা এত দিন ছিলেন বাফুফেতে তাদেরকেই দেব।’
বাফুফে ভবনে আজ ক্রীড়া উপদেষ্টা আসলেও নেই বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। কার্যনির্বাহী কমিটিরও কেউ উপস্থিত নেই। সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের সঙ্গেই মতবিনিময় করছেন তিনি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে স্টাফদের সঙ্গে বসার কারণ সম্পর্কে আসিফ মাহমুদ বলেন,
‘কর্মকর্তাদের অনেককে নিয়ে দুদক কাজ করছে। এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিনি।’