অবশেষে বাফুফেতে সালাউদ্দিন পর্বের অবসান ঘটলো, নতুন সভাপতি হলেন তাবিথ আওয়াল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এতেই বাফুফের সভাপতির চেহারে যে নতুন মুখের দেখা মিলবে তা অনুমেয় ছিলো। এবার নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোটে সেটা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেল।

আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বাফুফে নির্বাচনের ভোটগণনা শেষে তাবিথ আওয়াল বিপুল ভোটে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২৩ টি ভোট, পক্ষান্তরে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এএফএম মিজানুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ০৫ টি ভোট। এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়া ইমরুল হাসানের নাম আজ ভোটগ্রহণ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ভোটগণনা শেষে শীগ্রই জানা যাবে কারা সহসভাপতি ও সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

গত চারবার ধরে বাফুফেতে একক রাজত্ব চালিয়েছিলেন বাফুফের একচ্ছত্র অধিপতি কাজী সালাউদ্দিন। নিজের রাজত্বে তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পালটে যায় পুরো চিত্রপট, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে সকলে ধারণা করছিলো প্রহসনের নির্বাচনের ব্যতিরেকে নির্বাচনে নতুনত্বের ছোয়া পাবে। এবারের বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচনে সর্বমোট চারজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সবার আগে মনোনয়ন তুলেছিলেন বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আওয়াল। তাবিথ আওয়ালের পরপরই দিনাজপুর ক্রীড়া সংগঠক এএফএম মিজানুর রহমান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে চমক লাগিয়ে দেন।

এরপর শাহাদাত হোসেন এবং রেদওয়ান ফুয়াদও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে। কিন্তু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন জমা দেন নি রেদওয়ান ফুয়াদ। অন্যদিকে শাহাদাত হোসেন সভাপতি পদের নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এতে করে মুখোমুখি লড়াইয়ে চলে আসেন তাবিথ আওয়াল এবং এএফএম মিজানুর রহমান। তবে তখনই নির্বাচন যে একপেশে হয়ে গেছে এবং তাবিথ আওয়ালই যে নির্বাচনে জয় পাবেন তা প্রায় শতভাগই নিশ্চিত হয়ে যায়।

নির্বাচনের আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে সকলে তাবিথ আওয়ালকে সভাপতি হিসেবে ধরে নিয়েছিলো, আজ নির্বাচনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি হলেন বাফুফের এই সাবেক সহ-সভাপতি। তাবিথ আওয়াল এর আগে বাফুফের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১২ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি দুই মেয়াদে বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালেও সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়েন তিনি। তবে সেবার মহিউদ্দিন আহমেদ মহীর সঙ্গে সমান ভোট পাওয়ার পর পুনঃ নির্বাচনে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি। নতুনভাবে সভাপতির দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার তাবিথ আওয়াল নতুনত্ব আনতে পারেন এটাই এখন দেখার পালা।

Previous articleকি কি হলো বাফুফের এজিএমে
Next articleবাফুফের সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী যারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here