আরো একটি ফাইনাল, আরো একবার শিরোপা। নেপালে মাটিতে আবারো সাফ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আজ সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হয় পিটার বাটলারের শিষ্যরা। ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করেছে সাবিনা খাতুনের দল।
ম্যাচের ২ মিনিটে নেপালের ডিফেন্ডারের ভুল শুটে বল একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তহুরা খাতুন। বল পেয়ে একাই ছুটে যান গোল মুখে এবং শুট নেন,তবে বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে।ফিরতি বলে আবার হেড করেন তহুরা তবে এবারে গোলরক্ষক সহজে তালুবন্দি করেন।
১০ মিনিটে একই কান্ড ঘটে নেপালে সাথে সাবিত্রা ভান্ডারির পাস থেকে জোরাল গতির শটনেন আমিশা কার্কি। তবে বল ক্রসবারে বাধাপ্রাপ্ত হলে লিড পায়নি নেপাল। ২৫ মিনিটের মাথায় আবারো গোলের সুযোগ আসে নেপালের কাছে। কিন্তু সাবিত্রা ভান্ডারির শট করার আগেই বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করে দিলে সেইযাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
৩৫ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মনিকা চাকমা। বলে শট নিলেও বল গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে করে গোলশূন্য ড্র’তে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাবিনা খাতুনের পাসে আসা বলকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলটো বক্সের ভেতরে পাঠিয়ে দেন নেপালী ডিফেন্ডার। সেখান থেকে বল পেয়ে খানিকটা এগিয়ে বল জালে জড়ান ঋতুপর্ণা চাকমা।
তবে লিড বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। নেপালের মতো করে ডিফেন্ডারের ভুলে গোল হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। ৫৬ মিনিটে নেপালের হয়ে গোলটি করেন আমিশা কার্কি। ৮১ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার অসাধারণ গোলে ম্যাচে আরো একবার লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঠের বামপ্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা ক্রস করে বলকে বক্সের ভেতরে রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু বল সোজা গিয়ে জালে জড়ায়। নেপালের গোলরক্ষক আঞ্জিলা বল ক্লিয়ার করতে চাইলেও করে উঠতে পারেনি।
খেলার যোগ করা সময়ে লিড বাড়াতে পারতো বাংলাদেশ তবে মাঠে বামপ্রান্ত থেকে আসা ক্রসে বাংলাদেশের খেলোয়াড় হেড করলেও বল সহজে লুফে নেন নেপালী গোলরক্ষক আঞ্জিলা। শেষে ২-১ গোলের জয় পায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এতে করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়ের গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা।