আসন্ন মালদ্বীপ ম্যাচকে সামনে রেখে গত ১লা নভেম্বর থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছিলো। তবে ক্যাম্প শুরু হলেও দলের সবাইকে একসাথে পাননি কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। কিংসের এএফসি মিশনের জন্য কিছু খেলোয়াড় ক্যাম্পের বাইরে ছিলো। এএফসি মিশন শেষ করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া কিংসের ১১ জন ফুটবলার আজ অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দল শেষবার খেলেছিলো সেপ্টেম্বরে। সেবার ভুটানের বিপক্ষে খুব একটা ভালো কিছু করতে পারেনি। মাঝে অক্টোবরে ফিফা উইন্ডো খেলেনি বাংলাদেশ। লীগ শুরু না হওয়া এবং দুই উইন্ডোর মাঝে এক মাসের ফারাক জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মাঝেও ফারাক বলে মনে করেন জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান। ফর্টিসের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ম্যাচের দৃশ্য আলোকপাত করে তিনি বলেন, “জাতীয় দল এবং ফর্টিস দুইটি টিমের অবস্থান আমার কাছে ভালো মনে হয় নি। আসলে খেলার বাইরে থাকলে যা হয়, একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা। লীগটা যদি শুরু হতো, তাহলে আমরা সেখান থেকে উপকৃত হতে পারতাম।”
মালদ্বীপের সাথে মূল দলে দুই ডিফেন্ডার তারিক কাজী এবং বিশ্বনাথ ঘোষকে পাবেনা বাংলাদেশ। ইঞ্জুরি কাটিয়ে আসলেও এখনো পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় দলে জায়গা হয়নি তারিকের, অন্যদিকে ইঞ্জুরির জন্য দলে ডাক পাননি বিশ্বনাথ ঘোষ। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণে দলের সাথে থাকবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তবে ভালো খবর দলে ফিরেছেন আনিসুর রহমান জিকো।
অধিনায়ক জামাল না থাকায় অধিনায়কত্ব কে পালন করবে তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে তপু বর্মনই মালদ্বীপের বিপক্ষে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন। নিজের ব্যাপারে বেশ আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন এই সেন্টারব্যাক। তপু বলেন, “অধিনায়কত্ব নিয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। কে হয় না হয় ধারণা নেই। তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেশের হয়ে লড়াই করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত।”
আগামী ১৩ এবং ১৬ ই সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ববসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচ দুইটি অনুষ্ঠিত হবে।