তুমি কারও সাথে যত বেশি সময় থাকবে, বিচ্ছেদ তত বেদনাদায়ক হবে। এই কথারই যেনো আরো একবার প্রমাণ দিলো রবসন রবিনহোর বিদায় বার্তা। রবসন-কিংসের সম্পর্ক নিতান্তই ক্ষুদ্র নয়। কিংসের শুরু থেকেই ছিলেন রবসন, কিংসের প্রতিটি সাফল্যে বিশ্বস্ত কান্ডারীও এই ব্রাজিলিয়ান। তবে তীব্র ভালোবাসার জায়গাকেও একসময় বিদায় বলতে হয়, ছেড়ে যেতে হয়। তেমনটা রবসনের সাথেও হয়েছে। ৪ বছর অতিবাহিত করা নিজের প্রিয় ক্লাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ বিদায় জানালেন রবসন। তবে সেই বিদায় বার্তাকে মোটেও সুখকর বলা যাবে না। রবসনের বিদায় বার্তা উঠে এসেছে বসুন্ধরা কিংসের আলোর আড়ালে থাকা অন্ধকার সব দিক।
আজ সকালে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বসুন্ধরা কিংসকে বিদায় জানান। পোস্টের প্রথমেই তিনি বসুন্ধরা কিংসের সকল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং ভক্ত-সমর্থকদের শ্রদ্ধা জানান। তাদের সাথে অতিবাহিত সুখময় স্মৃতির কথা বলেন। তবে এরপরই বসুন্ধরা কিংসের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গুরুতর অভিযোগ আনেন বসুন্ধরা কিংসের সাবেক এই অধিনায়ক।
পূর্বে বসুন্ধরা কিংসের পক্ষ থেকে রবসনের অধিক পারিশ্রমিক চাওয়া বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিলো কিন্তু রবসন তার পোস্টে আত্মপক্ষ সমর্থন করে উল্লেখ করেন তিনি চুক্তি নবায়নের ন্যায্য দাবি করেছিলেন। তবে তাতে কিংস কর্তৃপক্ষ সায় দেয়নি। এছাড়া তার দাবি অনুসারে তিনি ৮ মাসের বেতন পান নি,
“উভয় পক্ষের জন্য ন্যায্য চুক্তির আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আমি। তবে ক্লাব কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। ৮ মাসের বেতন না পেয়ে আমাকে চুক্তি শেষ করতে হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে তারা তাদের আদর্শকে মূল্য দিতে শিখবে।”
তার দাবি যদি সত্য প্রমাণীত হয় তাহলে ফুটবল ভক্তদের চরম রোষানলে পড়তে চলেছে বসুন্ধরা কিংস। যারা প্রতিটা সময় পেশাদারিত্বের বুলি কপচিয়ে চলেন, তাদের কাছ থেকে এমন অপেশাদার আচরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়া তিনি তার পোস্টে ক্লাবের সিন্ডিকেটের কথাও তুলে ধরেন, যার কথা বসুন্ধরা কিংসের সাবেক কোচ অস্কার ব্রুজনও বলে গিয়েছিলো। রবসন এর প্রসঙ্গে লিখেন,
“বসুন্ধরা কিংসের ম্যানেজমেন্টের মধ্যে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার লোক রয়েছে, এরা কেবল খেলোয়াড়দেরই নয়; বরং ক্লাবেরও ক্ষতি করে।”