আজ সকালে গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেশের ফুটবলের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন।
প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে তাবিথ বলেন,
“বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের অগ্রাধিকার। হামজার মতো খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করা একটি বড় অর্জন। আশা করি, আরও অনেক প্রবাসী ফুটবলার জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে আগ্রহী হবে।”
হামজার ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন,
“হামজার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে আসায় আমাদের রক্ষণভাগ শক্তিশালী হবে এবং আক্রমণাত্মক খেলার মান উন্নত হবে। তার সফলতা জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার জন্য অন্যান্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদেরও অনুপ্রাণিত করবে। অতীতে আমরা জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীর মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পেয়েছি। এখন হামজার অন্তর্ভুক্তি আমাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
কোচিং ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তাবিথ বলেন,
“বর্তমান কোচের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। নতুন বছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।”
মাঠ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন,
“দেশের স্টেডিয়ামগুলোর বর্তমান অবস্থা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়। মাঠ সংস্কার এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কাজ করছি। চট্টগ্রামের মাঠ নিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে ঢাকার ফ্লাডলাইট মার্চের আগে প্রস্তুত হবে না। পাশাপাশি, দর্শকদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করাও আমাদের পরিকল্পনার অংশ।”
এএফসি এশিয়ান কাপ নিয়ে তাবিথ জানান, জানুয়ারির শেষে লিগ শেষ হলে জাতীয় দলের জন্য চার সপ্তাহের নিবিড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। প্রীতি ম্যাচগুলো গোপনীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে, এবং কোনো ফুটেজ বাইরের কারও সঙ্গে শেয়ার করা হবে না। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন,
“আমরা কেবল কম গোলের ব্যবধানে হারার মানসিকতা থেকে সরে এসে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে চাই। দেশের মেধাবী খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।”