সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হামজা চৌধুরী আসছেন বাংলাদেশ দলে। বিশ্বসেরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজাকে দেখা যাবে লাল সবুজের জার্সিতে – বিষয়টা এখনো যেন স্বপ্নের মত। আর এই স্বপ্ন পূরণের শুরুটা হয়েছিল রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে। সাবেক ফুটবল ও প্রথম আলোর সাবেক সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম এখন ফর্টিস এফসির ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনিই বাংলাদেশ থেকে প্রথম হামজার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় দলে সবসময় ফিজিও, ম্যাসাজম্যান ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলোর অনুপস্থিতির কথা জানা যায়। এরপরই এসব বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। যার প্রেক্ষিতে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হামজার বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাশেদুল ইসলাম জানান,
আসলে, গণমাধ্যম মারফত উনারা গতকাল জানতে পেরেছেন – আমাদের জাতীয় দলে অনেক সময় ফিজিও, ডাক্তার থাকেন না। এরই মধ্যে গতকাল বিষয়টি নিয়ে হামজার মা হামজার সঙ্গে কথা বলেছেন। এই বিষয়গুলোর সত্যতা সম্পর্কে জানার জন্যই আমাকে ফোন দেওয়া।
পরবর্তীতে রাশেদুল ইসলাম হামজার বাবাকে জানিয়েছেন,
বিষয়গুলো পুরোপুরি সত্য নয়। হ্যাঁ আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, তবে ফিজিও– ডাক্তার দলের সঙ্গে থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা, হামজার বিষয়টি নিয়ে বাফুফের নতুন কমিটি খুবই সতর্ক। একজন সমর্থক হিসেবে যতটুকু জানি, হামজার জন্য সর্বোচ্চ সাপোর্টের ব্যবস্থা রাখবে বাফুফে।
এরপর অফসাইডের পক্ষ থেকে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান পোস্টের বাইরেও কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে, যা এখন প্রকাশ না করাই ভালো।
হামজা খেলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক লিগের ক্লাবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তার সবকিছু হতে হবে বিশ্বমানের। কিন্তু বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু সফরে ফিজিও, ম্যাসাজম্যান ছিল না। যা হামজার আগমনের পর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ট্রেনিং ও ম্যাচ শেষে হামজার রিকভারি প্রসেস কীভাবে শুরু হবে, বিষয়গুলো জানার জন্য লেস্টার প্রতিনিধি বাংলাদেশে আসলেও আমাদের অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেন জানান রাশেদুল। কারণ ইপিএলের ক্লাবগুলোর পেশাদারিত্ব সবসময় প্রাধান্য পায়। তাই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে তারা হামজাকে নাও ছাড়তে পারে।
তাইতো হামজা চৌধুরীর আগমনের পূর্বে এসব আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো নিশ্চিত করা জরুরি। কোথাও যাতে কোন প্রকার ঘাটতি না থাকে। তাই বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির হামজার বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এবার দেখার বিষয় বাফুফের পক্ষ থেকে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।