বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিচের সারির তিনটি দল—ওয়ান্ডারার্স, ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স এবং চট্টগ্রাম আবাহনী—প্রতিপক্ষের কাছে ধারাবাহিকভাবে গোল ও পয়েন্ট হারিয়ে চলছে। এই তিন দলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তাদের স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে কি দেশের ফুটবলে আবারো পড়েছে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা?

এএফসির ম্যাচ পর্যবেক্ষকরা ইতোমধ্যে এই তিনটি দলের বেশ কিছু ম্যাচকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে দলগুলোর কাছে এসব ম্যাচের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি জাতীয় দৈনিক

ঢাকার ফুটবল লিগে ম্যাচ পাতানো বা ম্যাচ ছাড়ার ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরে পেশাদার লিগে ঢুকে পড়েছে অনলাইন বেটিং ও স্পট ফিক্সিং। হার নিশ্চিত এমন ম্যাচেও নির্দিষ্ট স্কোরলাইন ধরে রাখার মাধ্যমে বাজিকররা বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে। ২০২১ সালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের খেলোয়াড়রা ভারতীয় কোচিং স্টাফের সঙ্গে যোগসাজশে এমন বেটিং চক্রে জড়িয়ে পড়েন। ফলস্বরূপ, আরামবাগকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে দুই ধাপ নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়, আর সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হয়।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম আবাহনী ৪-০ গোলে ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরেছে। প্রথমার্ধে ভালো লড়াই করা দলটি দ্বিতীয়ার্ধে একরকম হাল ছেড়ে দেয়। দলটির কোচ সাইফুর রহমান মনি বলেন, “আমাদের দলটার সামর্থ্যই আসলে এতটুকু। আমাকে ডাকা হলে এ কথাই বলব।” 

ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন জানান, মোহামেডানের কাছে ৬-০ গোলে হারা প্রথম ম্যাচটি নিয়ে তারা বাফুফের চিঠি পেয়েছেন। অন্যদিকে, ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্সের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ৪-১ গোলে হারা দ্বিতীয় ম্যাচটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

Previous articleদেশব্যাপী শুরু হচ্ছে বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল লিগ
Next articleমোহামেডানের জয়রথ চলমান; এবার শিকার ব্রাদার্স ইউনিয়ন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here