ফুটবলারদের উন্নতির নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নবগঠিত ডেভেলপমেন্ট কমিটি। বাফুফের এলিট একাডেমির কার্যক্রমে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনা তাদের। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চলমান এই কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও টার্ফ সংস্কারের কাজ চলায় একাডেমির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে।
গতকাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রথম সভা শেষে কমিটির প্রধান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন,
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষতার মধ্যে সমন্বয় আনতে পারলে আমাদের ফুটবল উন্নয়নের পথ সুগম হবে। বিকেএসপি, এলিট একাডেমি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমরা একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ার চেষ্টা করছি।
নতুন বছরে তিনটি আন্তর্জাতিক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। এর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাফুফের নবগঠিত ডেভেলপমেন্ট কমিটি। আগামী মে মাসে মাঠে গড়াবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ, যেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এরপর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ, যেখানে বাংলাদেশ গতবার রানার্সআপ হয়েছিল। আর নভেম্বরে শুরু হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন,
বয়সভিত্তিক এই তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য শক্তিশালী দল গঠন করা হবে। এলিট অ্যাকাডেমি, বিকেএসপি এবং যশোর নাজমুল হুদা ফুটবল অ্যাকাডেমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
অর্থের সীমাবদ্ধতাও বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ফিফা এবং এএফসির ফান্ড ছাড়া বাফুফের নিজস্ব ব্যয়ে কাজ করার সুযোগ কম। তবে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাহেদী জানান,
ফিফা-এএফসি সহায়তাকারী হিসেবে থাকবে, তবে আমরা আমাদের নিজস্ব উদ্যোগেও কাজ চালিয়ে যাব।
শিশুদের বয়স কমিয়ে একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জাহেদী বলেন,
উন্নত বিশ্বে ৮-১০ বছর বয়স থেকেই ফুটবল শেখানো শুরু হয়। আমাদের বাস্তবতায় ১২ বছর বয়স থেকে একাডেমির কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব আরও কম বয়স থেকে কার্যক্রম শুরু করতে।