টানা চারবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কাজী সালাউদ্দিন এবার নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় নতুন কমিটির নির্বাচন। তবে আজ দুপুরে হঠাৎ করেই বাফুফে ভবনে হাজির হন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সালাউদ্দিনের আকস্মিক উপস্থিতি নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিল না। কেন তিনি ফেডারেশনে এসেছেন? ভবন থেকে বের হওয়ার পথে তিনি জানান,
‘এটা বাংলাদেশের ফুটবলের হোম, তাই এমনি এসেছিলাম। এছাড়া, বাংলাদেশের সাফ টুর্নামেন্ট হোস্টিং নিয়ে কিছু কাজ ছিল।’
নির্বাচনের পর তিন মাস হয়ে গেলেও নতুন কমিটির কার্যক্রম নিয়ে সালাউদ্দিন জানান, তিনি তা খুব বেশি অনুসরণ করেননি। গণমাধ্যমও দেখেন না বলে জানান তিনি। তবে তার বিশ্বাস, নতুন কমিটি ভালো কিছু করবে, কারণ যারা দায়িত্বে আছেন তারা ফুটবল ও খেলার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
এদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন, যা সালাউদ্দিনের সময়ে শুরু হওয়া একটি প্রক্রিয়ার অংশ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
‘হামজা যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলেন, তাহলে সেটা দুর্দান্ত হবে। এখন এশিয়ার অনেক দেশ প্রবাসী ফুটবলারদের দলে টানছে, এমনকি শ্রীলঙ্কাও।’
যদিও বাফুফের সভাপতির পদে তিনি নেই, তবুও ফুটবলের সঙ্গেই রয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। সাফ এবার প্রথমবারের মতো হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। যদিও এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন, তবে তিনি মনে করেন, এতে বাংলাদেশ ও ভারত সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। এই আয়োজনের ক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-বাংলাদেশের ভিসা সমস্যাগুলো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, কাজী সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বকালে কিছু আনুষ্ঠানিক কাজ বাকি ছিল, যা সম্পন্ন করতেই তিনি আজ বাফুফে ভবনে এসেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে বাফুফের আর্থিক হিসাব মেলাতে আসবে ফিফার প্রতিনিধি দল, সেই বিষয়ে সর্তকতা রাখতেই তার আগমন বলে গুঞ্জন।