বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলে চলমান সংকটের মধ্যেও নিজেদের পরিকল্পনা মতো এগিয়ে যাচ্ছেন ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। সিনিয়র ফুটবলারদের বিদ্রোহের কারণে দলের অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকলেও, তিনি যেসব খেলোয়াড় পেয়েছেন তাদের নিয়েই মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার স্টেডিয়ামের সংস্কারাধীন মাঠে ১৩ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে স্ট্রেচিং, রানিং ও টেকটিক্যাল অনুশীলন করিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ।

‘বিদ্রোহী’ খেলোয়াড়রা নিজেদের অবস্থানে অনড় এবং অনুশীলনে ফেরেননি। তবে এতে কোনো ধরনের হতাশা প্রকাশ করেননি কোচ পিটার বাটলার। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাদের পাচ্ছেন, তাদের নিয়েই কাজ করবেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,

‘(অনুশীলন) ভালো ছিল, পিচ ভালো ছিল, কোনো সমস্যা নেই… হ্যাঁ, আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আমি বোঝাতে চাইছি, কাজ চলবে। আমরা কাজ চালিয়ে যাব। আমরা পেশাদার এবং সংগঠিত থাকব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা আন্তরিক ও সৎ থাকব।’

সিনিয়র খেলোয়াড়দের না পাওয়াকে সমস্যা হিসেবে না দেখে তরুণ ফুটবলারদের দিকেই নজর দিতে চান পিটার বাটলার। তিনি বলেন,

‘তরুণ খেলোয়াড়রা যোগ দেবে; বাকিদের নিয়ে আগ্রহী নই আমি। পরবর্তী অনূর্ধ্ব-২০ বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়েই আমার সব আগ্রহ এবং আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা গর্বের সাথে এই জার্সি পরে দেশের সেবা করবে এবং দেশের মর্যাদা নষ্ট করবে না।’

নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। কয়েকদিন ধরে মিডিয়া এড়িয়ে চললেও, শনিবার তিনি বলেন,

‘আমি আজও তাদের (নারী ফুটবলারদের) অনুরোধ করেছি ফুটবল ও দেশের স্বার্থে ফিরে (অবস্থান থেকে) আসার জন্য।’ 

এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ বিকেলে একটি জরুরি সভায় বসবে। এর আগেই কোচ ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের মন্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জাতীয় নারী ফুটবলে চলমান এই টানাপোড়েন কীভাবে সমাধান হবে, তা নিয়ে ক্রীড়ামহলে এখন চলছে নানা জল্পনা।

Previous articleদেশের ফুটবলে শুরু মধ্যবর্তী দলবদল; আসছে নতুন বিদেশী ফুটবলার
Next articleবিসিএল শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here