দুইদিন পর ৩ই অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২০ই সেপ্টেম্বর বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ৩৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ সমন্বয় পরিষদ’ নামে প্যানেল করেছেন আসলাম-মহি। সভাপতি প্রার্থী না থাকলেও সিনিয়র সহ সভাপতি পদে সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে লড়বেন তারকা খেলোয়াড় শেখ মোহাম্মদ আসলাম। মূলত তারই নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে সমন্বয় পরিষদের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা করা হয়৷ আগামী চার বছরের পরিকল্পনা ২৪ দফা ইশতেহারের মাধ্যমে জানানো হয়।
সমন্বয় পরিষদ প্রথমেই দীর্ঘমেয়াদী ন্যূনতম ১২ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণনয় করতে চায়। জেলা লীগ গুলো নিয়মিতকরণের পাশাপাশি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বয়স ভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৩, ১৫ ও ১৭ ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে তারা। জেলা ও জাতীয় শিক্ষা বোর্ডসমূহের অংশগ্রহণে সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে নিয়ে শেরে বাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রত্যেকটি জেলায় স্থানীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন ক্লাবদের নিয়ে শহীদ রাসেলের নামে জাতীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় তারা। এছাড়াও তারা বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রত্যেক বিভাগের অধীনস্থ জেলাগুলোর পুরুষ ও মহিলা কোচ ও রেফারিদের প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন এবং তাদেরকে নিয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দল পরিচালনা (কোচিং) ও খেলা পরিচালনা (রেফারিং) করা এবং তাদের পারফরম্যান্স ইভ্যুলুয়েশন এর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে কোচিং এবং রেফারিং করার সুযোগ করে দিতে চায়।
প্রিমিয়ার লীগ ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি সবচেয়ে চমক জাগানো ঘোষণা হিসেবে আসে ৮টি বিভাগীয় ফুটবল দল নিয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চালু করার বিষয়টি। এছাড়াও ঢাকা মহানগরী লিগ কমিটির তত্ত্বাবধানে অফিস ও কর্পোরেট ফুটবল লিগ আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
জাতীয় দলের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। ফিফা তালিকায় উন্নতির বিষয়টি তারা মাথায় রেখেছে। মূলত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ জয়কেই লক্ষ্য বানিয়েছে তারা। এছাড়াও আগামী চার বছরের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে অন্তত ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানের ফুটবল স্টেডিয়াম গড়ে তোলার পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিক সংখ্যক ফুটবল খেলার উপযোগী উন্মুক্ত মাঠ তৈরি করতে চায় সমন্বয় পরিষদ। ফিফা এবং এএফসির বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় যথাসম্ভব প্রত্যেকটি বিভাগে মিনি টার্ফ, স্টেডিয়াম টার্ফ, জিমনেশিয়াম, ফুটবল সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে আসলাম-মারুফের পরিষদ। এছাড়াও বাফুফে’র মার্কেটিং, মিডিয়া ইত্যাদি বিষয়ে উন্নতি করে দুর্নীতিমুক্ত ফেডারেশন গঠন করবে বলে জানায় সমন্বয় পরিষদ।