সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরে সোমবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দীর্ঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে ফুটবলারদের স্বাগত জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
দেশে ফেরার পর বিকেলে বাফুফে ভবনে তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকারসহ অন্যান্য ফুটবলাররা। বৈঠকে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বাফুফে সভাপতি ফুটবলারদের উৎসাহিত করে বলেন, ‘আমরা এই ম্যাচগুলো থেকে জানলাম দুর্বলতা কোথায়। সামনে সেভাবে নিবিড় অনুশীলন হবে। জুনে এশিয়ান কাপ বাছাই রয়েছে। বাছাই উত্তীর্ণ হলে ২৬ সালে এশিয়া কাপ। না হলেও আরো অনেক খেলা রয়েছে। আগামী দুই বছর অনেক ব্যস্ত সূচি, খেলা বন্ধ থাকবে না।’
তাবিথ আউয়াল জানান, জুনে এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব রয়েছে। সেই আসরের জন্য প্রস্তুতি শীঘ্রই শুরু হবে। বাফুফে ইতোমধ্যে ৩৭ জন ফুটবলারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছে। এছাড়া বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বয়কট করা ১৮ জন ফুটবলারও রয়েছেন, যারা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
বাফুফে সভাপতি জানিয়েছেন, ‘আমরা শীঘ্রই ঘোষণা করব কবে থেকে ক্যাম্প শুরু হবে। পুরো ৫৫ জনের স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন শুরু হবে, সেখান থেকে বাছাই করা ফুটবলাররা এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অংশ নেবে।’
দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার ম্যাচ পর্যালোচনা করে সভাপতিকে বলেন, ‘ওরা শেষের দিকে হাপিয়ে গিয়েছিল। আমরা গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু গোল হয়নি।’
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ। সেই আসরের বাছাই পর্ব ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৩৩টি দল অংশ নেবে, যাদের মধ্যে আটটি গ্রুপে ভাগ করে বাছাই ম্যাচ আয়োজন করা হবে। প্রতি গ্রুপের সেরা দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এই বাছাই পর্বের ড্র।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সামনে রয়েছে চ্যালেঞ্জিং পথ, তবে বাফুফের সমর্থন এবং ফুটবলারদের পরিশ্রমে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল আসার প্রত্যাশা ।