বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃক পরিচালিত অ্যাক্রিডিটেশন স্কিমের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিবন্ধিত ফুটবল একাডেমিগুলোর মাঝে নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে একাডেমিগুলোর মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন বাফুফে সভাপতি জনাব তাবিথ আউয়াল।
অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলের প্রসার ও বিকাশে একাডেমির ভূমিকার প্রশংসা করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘সাড়া তো ভালো পাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলের উন্নতি করা। তৃণমূলে যেন সবাই ফুটবল খেলে। একাডেমির মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি ওই তৃণমূলে যেন কিছু টেকনিক্যালি জ্ঞান প্রদাণ ও ভালো খেলোয়াড়দের বাছাই করা। জুনিয়র খেলোয়াড়দের গোছানো ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া যেন হয়। আমরা সেদিক থেকে সাড়া পাচ্ছি। দেখলাম যে দেশব্যাপী অনেক একাডেমি সামনে এসেছে। তার মানে দেশজুড়ে ফুটবলের একটা জোয়ার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
২০২০ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির তত্ত্বাবধানে শুরু হয় দেশব্যাপী ফুটবল একাডেমি নিবন্ধন কার্যক্রম। শুরুতে ৭৮টি একাডেমি নিবন্ধিত হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে তা বেড়ে দাঁড়ায় মোট ২৬৮টি ‘ওয়ান স্টার’ এবং ১৭টি ‘টু স্টার’ একাডেমিতে।
নিবন্ধিত একাডেমিগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় “বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৪”, যেখানে ফিফার অর্থায়নে দেশের ২৪টি ভেন্যুতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় ৪৮০০ ক্ষুদে ফুটবলার। টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত ৩৫ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে বাফুফে এলিট একাডেমিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়াও ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত গ্রাসরুট কোচিং কোর্সে বাফুফে নিবন্ধিত একাডেমি থেকে অংশগ্রহণকারী ৫৫০ জন কোচ পেয়েছেন প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট।
সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান শেষে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর জনাব সাইফুল বারী টিটু এক ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। সেখানে একাডেমির উন্নয়ন, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, কার্যনির্বাহী সদস্য শাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন এবং টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিলটন।