ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ঘিরে হয়েছে একেরপর এক নাটকীয়তা। দুই দলের খেলোয়াড়দের ভেতর চলমান উত্তেজনায় কার্ডের ছড়াছড়ি, এরপর কালবৈশাখী ঝড়ে ১ ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ আর শেষ দিকে আলোকস্বল্পতায় অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলার আগেই ফাইনাল স্থগিত। এক সপ্তাহ পর আজ মাঠে গড়ানো ফাইনালের বাকি অংশ শেষে শিরোপা জয়ের উল্লাস কিংস শিবিরে। তবে জয়টা এসেছে টাইব্রেকারে।
গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ৬ মিনিটেই হুয়ান লেসকানোর গোলে এগিয়ে যায় কিংস। তবে ১৫তম মিনিটে আবাহনীকে সমতায় ফেরান মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এরপর দুই দলই গোলের জন্য লড়তে থাকে। কিন্তু কেউই গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধ শেষে শুরু হয় ঝড়, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকে খেলা। এরপর আবার শুরু হয় খেলা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটও শেষ হয় ১-১ সমতায়। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও গোল করতে পারেনি কোনো দল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয় কিছুক্ষণ। আলোকস্বল্পতার কারণে রেফারি ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করেন। তার আগে ১০৪তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। তাই আজ ১০ জন নিয়েই মাঠে নামে কিংস। তবে বাকি ১৫ মিনিটে কেউই খুব একটা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
বসুন্ধরা কিংসের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন জোনাথন ফার্নান্দেজ। আবাহনীর হয়ে প্রথম শটে গোল করেন রাফায়েল অগাস্তো। এরপর শেখ মোরসালিন কিংসের দ্বিতীয় শটে গোল করেন। তবে আবাহনীর এমেকা ওগবার দ্বিতীয় শট ঠেকিয়ে দেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। এরপর কিংসের তপু বর্মন ও ইনসান হোসেন পরবর্তী দুই শটে গোল করেন।
আবাহনীর সবুজ হোসেন ও মিরাজুল ইসলামও গোল করেন। মিরাজুলের শট অবশ্য শ্রাবণ ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু শট নেওয়ার আগেই লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় পুনরায় শট নেওয়ার সুযোগ পান মিরাজুল। সেখান থেকে গোল করেন তিনি। এরপর কিংসের পঞ্চম শটে গোল করলেই জয় – এমন সমীকরণে গোল করে জয় নিশ্চিত করে দেন ড্যাসিয়েল অ্যালিস। ফলে আবাহনীর ১ শট বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে বসুন্ধরা কিংস।