আজ (রবিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দলবদল। দেড় মাস এই দলবদলের সময় থাকলেও জাঁকজমকপূর্ণ দলবদলের দৃশ্য হয়তো দেখা যাবে না। কেননা সমঝোতার ভিত্তিতে বাতিল হওয়া গত মৌসুমে খেলা ফুটবলাররা এবার নিজ নিজ ক্লাবে খেলবেন।
দলবদল শুরুর পূর্বে সুযোগ ছিলো গত মৌসুমে খেলা খেলোয়াড়দের সমঝোতার ভিত্তিতে ছেড়ে দেয়ার। এইক্ষেত্রে সব বেশি খেলোয়াড় ছেড়ে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ডিফেন্ডার দিদারুল হক ও আবু সুফিয়ান জাহিদ, মিডফিল্ডার আবদুল বাতেন কোমল ও তুহিন, ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম তৌহিদ এবং গোলকিপার উত্তম বড়ুয়া সহ ১৭ জন ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে। নতুন কোচ ভারতের সুব্রত ভট্টাচার্যের অধীনে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে নীলফামারীতে নিজেদের ক্যাম্প শুরু করবে ফুটবল পাড়ার দলটি।
অন্যদিকে ৯ জন ফুটবলারকে ছেড়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান এসসি। পুরো এই খেলোয়াড়দের ছেড়ে তরুণদের দিকে নজর সাদা-কালো শিবিরের। বিকেএসপি ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ থেকে কিছু খেলোয়াড় নিয়ে কাজ শুরু করবেন কোচ শন লেন।
খেলোয়াড় ছাড়ার তালিকায় আছে বড় ক্লাবগুলোও। বসুন্ধরা কিংসর মিডফিল্ডার ওমর ফারুক মিঠু ও ফয়েজ আহমেদ, ডিফেন্ডার জাহাঙ্গীর আলম সজিব ও হাকিম বিশ্বাস, ফরোয়ার্ড নিহাত জাহান উচ্ছ্বাস এবং গোলকিপার মাকসুদুর রহমানকে ছেড়ে দিয়েছেন। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার রফিকুল ইসলাম ও গোলকিপার নুর মোহাম্মদ এবং সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ফরোয়ার্ড মেহেবুব হাসান নয়ন ও কাফসুত তাইউস, ডিফেন্ডার নাজমুল হোসেন আকন্দকে ছাড়ার বিষয়ে ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছে।
তবে ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়েরা অন্য দলে যাওয়ার সুযোগ না পেলে আগের ক্লাবেই থাকবেন এমনটাই নিয়ম করেছে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। একটি ক্লাব সর্বোচ্চ ৩৫ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে।