প্রস্তুতি ম্যাচ মানেই নিজেদের ভুল সুধরে নেয়ার মঞ্চ। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের পূর্বে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হারলো বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচগুলোর মূল উদ্দেশ্যে হয়তো সফল জামাল ভুঁইয়ারা। প্রথম ম্যাচে কাতার আর্মির সাথে তিন গোল হজম করলেও গতকাল লুসাই স্পোর্টস ক্লাবের সাথে গোল হজম করেছে একটি।
যেকোনও অবস্থায়, যেকোনও দলের বিপক্ষে জয় মনোবল বাড়ায়, বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগায়। সেটি ধরলে শনিবার লুইসাইল স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ে জামাল-জিকোদের মন খারাপ হওয়ারই কথা। তাছাড়া প্রথম ম্যাচে শৌখিন দল কাতার আর্মির কাছে ৩-২ গোলে হারের পর এ ম্যাচে ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মুখে।
দোহার আল আজিজিয়া বুটিক সুপার ক্লাব মাঠে লুসাইল এগিয়ে যায় আবদুল রহমান মোসেদের ২৪ মিনিটে দেওয়া গোলে। এরপর আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি। সুফিল-ইব্রাহিমদের দেখা গেছে আক্রমণে উঠতে। শেষ পর্যন্ত সেসব আক্রমণ যে পরিণতি পায়নি তা তো বলে দেয় স্কোরলাইনই।
লুসাইল অবশ্য পেশাদার দল, তবে খেলে দ্বিতীয় বিভাগে। কাতার এশিয়া চ্যাম্পিয়ন, ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক। সেই দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের একটি দলও যে কতটা শক্তিধর সেটা বুঝতে পারলেন জামাল-জীবন-সুফিলরা!
ম্যাচের পর ভিডিও বার্তায় গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলেছেন, ‘দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও দল ৪ ডিসেম্বর কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভালো খেলতে চাই। দুটি ম্যাচে যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে সেগুলো শুধরে নিয়েই সবাই মাঠে নামতে উন্মুখ।’