১২৯ তম ঢাকা ডার্বিতে সহজ জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডান ক্লাবকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে আকাশী-নীলরা।
ম্যাচের স্কোর শিট দেখলে গোলদাতা জুয়েল রানা ও মাসিই সাইঘানির নামই উঠে আসবে। কিন্তু ঢাকা ডার্বির এই ম্যাচে আবাহনীর জয়ের অন্যতম নায়ক রায়হান হাসান। আরো পরিস্কার করে বললে রায়হান হাসানের লং থ্রো। তিনটি গোলেরই সূত্রপাত তার বক্সে ফেলা লম্বা বল থেকেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রত্যাশিতভাবে নিয়ন্ত্রন নেয় ঢাকা আবাহনী। তবে মাঝে মাঝেই বল নিয়ে আবাহনী ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে আসে মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে সুলেমানে ডাইবেটের ক্রসে বক্সে থাকা শ্যামলে জোড়ালো হেড জাল খুঁজে পায়নি। হেড করার পর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তার জায়গায় দলের সাথে মাত্র একটি অনুশীলম করা মোহাম্মদ নুরাত নামেন মাঠে। খেলার ৩০ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রস থেকে গোলের লক্ষ্যেই প্লেস করেন বেলফোর্ট, কিন্তু তা সরাসরি সুজনের গ্লাভসবন্দি হয়।
ম্যাচে ৪১ তম মিনিটে ভাঙ্গে ডেড লক। রায়হান হাসানে লম্বা থ্রো থেকে ব্যাক হেড করে গোল করেন আবাহনীর আফগানিস্তানি ডিফেন্ডার মাসিই সাইঘানি। এর মাত্র চার মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুন হয়। রায়হানের থ্রো থেকে আসা একটি বল বক্স পান আবাহনী অধিনায়ক জীবন।তার সামান্য তুলে দেয়া একটি বলে অসাধারণ বাইসাইকেল কিক নেন মাসিই। বলকে লক্ষ করে ঝাঁপ দেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন। কিন্তু তার আগেই হেড দিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে স্কোরশিটে নাম তুলেন জুয়েল রানা। এতে দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করে মোহামেডান। ৫২ মিনিটে বক্সে ভিতরে নুরাতে কোনাকোনি শট বারের উপর দিয়ে চলে গেলে ব্যবধান কমাতে পারেনি মোহামেডানের। উল্টো এর এক মিনিট পরই রায়হানের লম্বা থ্রো থেকে বেলফোর্টের ব্যাক হেডে সহজে বল জালে প্লেস করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেম জুয়েল রানা।
এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় মোহামেডান। কিন্তু কামরুল-নুরাতদের দূরপাল্টার শট তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি আবাহনী গোলরক্ষক শাকিলের। সহজ কিছু সেভ করে নিজের ক্লিনশিট ধরে রাখেন দর্শকদের চমকে দিয়ে শহীদুল সোহেলের পরিবর্তে আজ একাদশে সুযোগ পাওয়া এই গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হতে ৩-০ গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মারিও লেমসের দল।