করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের খেলা আগের মতো বেশি ভেন্যুতে না করে ঢাকার কাছাকাছি কম ভেন্যুতে করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে আসন্ন লীগের চার ভেন্যুর নাম ঘোষণা করে বাফুফে। চার স্টেডিয়ামের একটি হচ্ছে টঙ্গীর আহসানুল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম। কিন্তু এই স্টেডিয়াম নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। এখানেই যে নিজেদের তৈরি করছে দেশের আর্চাররা।
টঙ্গীর এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে খেলোয়াড়দের বড় মঞ্চের জন্য তৈরি করে আসছে বাংলাদেশ আর্চারী ফেডারেশন। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় সাফল্য এসেছে এই আর্চারীর হাত ধরেই। সর্বশেষ সাফ গেমসে ১০ স্বর্ণপদক এনেছে এই ডিসিপ্লিন। কিন্তু তাদের না জানিয়েই বাফুফে স্টেডিয়ামকে নিজেদের লীগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে। এমনি এটি নিয়ে অবগত নয় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না, ফুটবল ফেডারেশনই তাদের ক্যালেন্ডারে আহসানউল্লাহ স্টেডিয়াম টঙ্গীকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং নিজেদের লীগের খেলাগুলে দিয়েছেন। এখন আর্চারী ফেডারেশন যদি মনে করে এখানে এক মাস বা ১৫ দিনে খেলা দিলে কোন সমস্যা হবে না তবে তারা খেলতে দিতে পারে। আর কোন কারণে না দিতে পারলে আমাদের অন্য স্টেডিয়ামও আছে, সেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারবে।’
আর্চারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ছোট ফেডারেশন, কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা বৃহৎ। বিশ্ব পর্যায়ের টুর্নামেন্ট থেকে এই ১৮ বছরে আমরা ৩৭ টি স্বর্ণপদক এনেছি। এই পরিসংখ্যানটায় যাতে কোন প্রভাব না পড়ে তার জন্য আমাদের যা কিছু করার করবো। তবে আলোচনায় বসতে কোন অসুবিধা নেই। আমরা তাদের (বাফুফে’কে) আলোচনার টেবিলে বসতে আহ্বান জানাবো।’
ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় টঙ্গীর ভেন্যু ফুটবল ফেডারেশন বেছে নিলেও অবশ্যই তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনায় করে সিদ্ধান্ত নেয় উচিত ছিলো। ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামের নামটি ঘোষণা করে দেয়ায় এবং খেলা শুরুর পথে থাকায় দ্রুত একটি সমাধানের পথে হাটতে হবে পেশাদার লীগ কমিটিকে। অন্যদিকে আর্চারী ফেডারেশনও তাদের নিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটাতে চাইবে না। ফলে নতুন একটি স্টেডিয়ামকেই হয়তো দেখা যেতে পারে লীগের ভেন্যুর তালিকায়।