নিজেদের গত ম্যাচে ড্র করে হোঁচট খাওয়া বসুন্ধরা কিংস জয়ে ফিরেছে। শুধু জয় বললে ভুল হবে, প্রতিপক্ষ আরামবাগকে একেবারে বিধ্বস্ত করে ৬-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচে শুরুতেই লিড নেয় কিংস। খেলার তিন মিনিটে তৌহিদুল আলম সবুজের ক্রসে বেসেরার হেড প্রথম পোস্টেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করে। এরপর অবশ্য দ্রুতই গোল শোধ দেয় আরামবাগ। ম্যাচের ১৮ মিনিটে লেফট উইং দিয়ে উঠে কোনাকুনি শটে জিকোকে ফাঁকি দেয় তরুণ খেলোয়াড় উচ্ছ্বাসের শট। কিন্তু এরপর আর সুযোগ দেয়নি কিংস। খেলার ৩২ মিনিটে ফার্নান্ডেজের ক্রসে কোনাকুনি শটে ব্যবধান ২-১ করেন রবিনহো।
কিছুক্ষণপর স্কোর শিটে নাম তুলতে পারতে ফার্নান্ডেজও। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তা দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে মারেন। তবে ম্যাচের ৪২ মিনিটে দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন রবিনহো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুশান্ত ও আলমগীরকে মাঠে নামিয়ে আক্রমনেরমধার আরো বাড়ায় কিংস। ম্যাচের ৬৫ ও ৭৪ মিনিটে দুটি গোল করে নিজের হ্যাট্রিক পূরণ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ব্যাসেরা। প্রথমটি রিমনের ক্রস খালিদ শাফি হেড করতে ব্যর্থ হলেও আগুয়ান ব্যাসেরা সহজেই প্লেস করেন। দ্বিতীয়টি সুশান্ত’র ক্রস থেকে ডিফেনৃডার হেড করে ক্লিয়ার করতে গেলে ব্যাসেরার পায়ে গিয়ে পড়ে, সেখান থেকে কোন ভুল করেননি এই স্ট্রাইকার।
৭৭ মিনিটে হ্যাট্রিক পূরণ করেন করেন আরেক বিদেশী রবিনহো। সহজেই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জোড়ালো শটে প্রথম পোস্টে গোল করে আরামবাগের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিনি। এতে ৬-১ গোলের বড় জয় নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের।
এই ম্যাচ শেষে বসুন্ধরা কিংস ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলা আরামবাগের পয়েন্ট শূন্য।