গত ২৬ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এর মধ্যকার খেলায় মাঠে ও গ্যালরীতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে মোহামেডানের টিম লিডার আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স সজোড়ে ধাক্কা মারেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজকে। তাৎক্ষনিক তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেন রেফারি। তবে এতেই শেষ হয়নি বিষয়টি। উক্ত খেলার ম্যাচ কমিশনার, রেফারী রিপোর্টসহ অন্যান্য তথ্যাদী বিস্তারিত পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারী কমিটি দুই দলকে আর্থিক জরিমানা করেছে।
ম্যাচের ৬২ মিনিটের সময় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিঃ এর খেলোয়াড় জনাব মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানকে ফাউলের জন্য রেফারী হলুদ কার্ড দেখান। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যানেজার মোঃ আরমান আজিজ ম্যাচের চতুর্থ রেফারীরকে উল্টো মোহামেডানের খেলোয়াড়কে লাল কার্ড প্রদর্শনের জন্য আবেদন করেন। তখন মোহামেডানের কোচ শন লেন আরমান আজিজের সাথে তর্কে লিপ্ত হন। ঠিক তখনই মোহামেডানের টিম লিডার আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স দৌড়ে এসে আরমান আজিজকে সজোড়ে ধাক্কা মারেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর উভয় তর্কে লিপ্ত হলে খেলা রেফারী তাদের লাল কার্ড প্রদর্শন করে।
বিষয়টির বিস্তারিত রিপোর্ট ম্যাচ কমিশনার, রেফারীরা বাফুফে’র ডিসিপ্লিনারী কমিটিতে জমা দেয়ার পর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে কমিটি। মোহামেডানের কোচ শন লেনকে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়ায় কঠোরভাবে সর্তককরণসহ ভবিষ্যতে এধরনের কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
মোহামেডানের টিম লিডার জনাব আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স চট্টগ্রাম আবাহনীর টিম ম্যানেজার আরমান আজিজকে সজোড়ে ধাক্কা দেয়ায়, অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ এবং তর্কে লিপ্ত হওয়ায় নিজ দলের পরবর্তী সর্বমোট তিন খেলায় অংশগ্রহণ হতে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিটি। এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজকে তার নিজ দলের পরবর্তী এক খেলায় অংশগ্রহণ হতে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ ভবিষ্যতে এধরনের কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম আবাহনীকে উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে পচিঁশ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।