করোনা মহামারীতে লক ডাউন থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। তবে বাফুফে’র পেশাদার লীগ কমিটির জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত আসে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে লীগের খেলা শুরু করবে তারা। খসড়া ফিক্সচার চূড়ান্ত হলে খেলায় অংশগ্রহন নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়ে ফেডারেশনকে লীগ পেছানোর আবেদন করে চিঠি দিয়েছে তিনটি ক্লাব।
তিনটি ক্লাব হলো মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। আবেদন জানাতে পারে উত্তর বারিধারা ক্লাবও। মূলত অনেক ক্লাবেরই ক্যাম্প বন্ধ। মধ্যবর্তী দলবদলে দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন বিদেশীরা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় এসে পৌঁছায়নি। ফলে খেলোয়াড় না থাকলে ক্লাব খেলবে কিভাবে তাই প্রশ্ন।
নিজেদের লীগ পেছানোর আবেদন করার কারণ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেসি’র ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম অফসাইডকে জানান, ‘লকডাউন এর কারনে বিদেশি দুইজন খেলোয়ার এখনও আসতে পারেনি। বিদেশি ছাড়া তো লীগ খেলা সম্ভব নয়। ঈদের পর সম্পূর্ণ ফিকশ্চার দিয়ে লীগ শুরু করা উচিত বলে আমরা মনে করি এবং সকল ক্লাব এর মতামত এর ভিত্তিতে লীগ শুরু করা সিদ্ধান্তে আসা উচিত।’
অবনম এড়াতে এই চার ক্লাবই এবার মধ্যবর্তী দলবদলে মনযোগী ছিলো। তাই তারা কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। তবে ফেডারেশন কয়েকটা ক্লাবের জন্য লীগ পেছাতে চায় না এমনটা জানিয়েছে। কিন্তু সব ক্লাব ছাড়া তো খেলাও সম্ভব নয়। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে অপেক্ষায় আছে সকল পক্ষই।