ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ ও এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৩ এর প্রিলিমিনারি জয়েন্ট কোয়ালিফায়ার রাউন্ড -২ এর নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ খেলতে ২২ মে কাতার যাওয়ার কথা ছিলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় যাত্রার তারিখ পিছিয়ে ৩০ মে করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
মূলত কাতারে গিয়ে জিম, সুইমিং, প্রস্তুতি ম্যাচ এসব কিছুর সুযোগ না থাকায় নিজেদের যাওয়া পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কাতারে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা পোষণ করলেও তা না হওয়ায় ঢাকায় স্থানীয় দুইটি ক্লাবের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা চলছে বাফুফে’র। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে সৌদি আরবে প্রস্তুতি নিতে যাওয়ার একটি বিষয়। তবে এই বিষয়ে আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সময়ের স্বল্পতায় না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রচন্ড গরমে তৃতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেন ফুটবলাররা। প্রথমদিকে ইনজুরি থেকে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় মাঠের অনুশীলনে ছিলেন না তপু বর্মন। তবে আজ দলের সাথে যোগ দেন এই ডিফেন্ডার। তিনি জানান প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার গুরুত্বের কথা, ‘প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা আমাদের জন্য অনেক জরুরী ছিল। যেকারণেই হোক কাতারে আমরা আগে পৌঁছাতে পারিনি। হয়তো সে কারণে ম্যাচগুলো খেলতে পারব না। আমি মনে করি আমাদের একটা-দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিত। যেহেতু আমরা এখনো দেশেই অনুশীলন করছি, সেক্ষেত্রে এখানেই ম্যাচ খেললে আমাদের দলের কাঠামো আর পারফরম্যান্স বিবেচনা করে কোথায় সমস্যা আছে সে বিষয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো, কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো বুঝতে পারবো।’
নিজেদের দেশের ক্লাবের সাথে হলেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান তপু, ‘কাতারের প্রস্তুতি ম্যাচের সঙ্গে এখানের বিপিএল দলের সঙ্গে ম্যাচ হয়তো এক হতো না কিন্তু কাতারে গেলে দেখা যেত আমাদের দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগের কোনো দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে হতো। আমরা আগেও ওদের এসব দলের সঙ্গে খেলেছি। যদি ওদের দ্বিতীয় বিভাগের দল আর আমাদের প্রিমিয়ার লিগের দলের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে বলবো আমাদের দলই এগিয়ে।”