সরোয়ার জাহান :‘শেষ হয়েও হইলো না শেষ’ – রবি ঠাকুরের ছোট গল্পের বর্ণনা ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ দুই ফুটবল ম্যাচ যেন একসূত্রে গাঁথা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও যেনো শেষ রক্ষা হলো না।প্রথম লেগে শেষ মূহুর্তে গোল হজমে ম্যাচ ড্র, আর গত ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে হার যেনো পয়েন্ট আক্ষেপই বৃদ্ধি করলো কোচ, খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের।
দুই গোল বাদে পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ জমাট ছিলো। আক্রমণ সামলিয়ে নিজেরা প্রায় প্রতি আক্রমণে গিয়েছে। যদিও তাতে গোলের সুযোগ অর্ধ-শতাংশই ছিলো। কিন্তু অন্যদিকে ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল সুযোগ পাওয়া মাত্রই বল জালে জড়াতে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নি। এই নিয়ে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেন,
‘আমরা কয়েকটা হাফ চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু সুনীল ছেত্রীকে দেওয়া(সুযোগ) হয়েছে এবং সে কাজে লাগিয়েছে। শেষ দিকের দুটি সুযোগ পেয়েছে, দুটিই কাজে লাগিয়েছে।’
ভারতের আক্রমণভাগ বারবার আক্রমণ করলেও ,বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দক্ষতার সাথে গোল হতে দেয় নি। তবে শেষ ১৩ মিনিট ভুলের কারণে হজম করতে হয় সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোল। কোচ জেমি আক্ষেপের সুরেই বলেন,
‘ আমি মনে করি ৮০ মিনিট পর্যন্ত আমরা খুব চমৎকারভাবে লড়েছি। টিম শেপ দারুণ ছিলো, যা ভারতের পক্ষে ভাঙ্গা কঠিন ছিলো। বল পজিশনে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পার্থক্য দেখেছেন আপনারা। আজ রাতে আমার হতাশার একটিই কারণ, আমরা তাদেরকে খুব বেশী বল পায়ে রাখতে দিয়েছি। শেষটা ভালো হয়নি।’
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সাত ম্যাচে পাঁচটিতে হার এবং দুই ড্র নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে বাংলাদেশ। আগামী ১৫ই জুন নিজেদের অষ্টম তথা শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নাম্বে বাংলাদেশ। তবে ওমানের সাথে শেষ দেখায় ৪-১ গোলের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ওমানের বিপক্ষে পয়েন্ট অর্জনের দিকেই একমাত্র লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের। এই কোচ জেমি ডে বলেন,
‘ বাছাইয়ের শেষে আমরা ওমানের মুখোমুখি হবো। যারা র্যাংকিংয়ে ভারতের থেকেও এগিয়ে। শেষবার আমরা যখন তাদের মুখোমুখি হয়েছিলাম,তখন প্রথম ৪০-৪৫ মিনিট ভালো করেছিলাম। তারা তাদের মান দেখিয়েছিলো। আমরা চেষ্টা করবো পয়েন্ট নেওয়ার। যদি কিছু পাই তাহলে সেটা হবে দারুণ অর্জন।’