বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্যে বেতন কাঠামো থাকলেও সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র ফুটবলারদের ক্ষেত্রে।ফুটবলের নেই কোনো বেতন কাঠামো, নামে মাত্র পান সামান্য সম্মানী। তাই খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামো আওতায় আনার প্রচেষ্টা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচে কাতার না যেতে পারা ৫ জন ফুটবলারের সাথে আলোচনা করে এমনিই পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘একটি বেতন কাঠামোর মধ্যে থাকলে সবার জাতীয় দলে খেলার প্রতি আকৃষ্ট হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। ইউরোপে ফুটবলাররা ক্লাবে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পায়, তাই জাতীয় দলে সেই অর্থে সম্মানীর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আমাদের তো তা নেই।’
এছাড়া বাফুফে সভাপতি আরো বলেন,
‘সবার আয় সমান নয়। জাতীয় ফুটবলারদের সামাজিক কর্মকাণ্ড, পারিবারিক অনেক ব্যয়ও রয়েছে। একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডের জন্য অবশ্যই অর্থ প্রয়োজন। আমরা বেতন কাঠামো নিয়ে এক রকম পরিকল্পনা করছি। কাতার থেকে ফেরার পর সবার সাথে বসবো।’
সভাপতির সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশ দলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন,
‘আমাদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনার পরিকল্পনাটা খুবই ভালো। এতে আমরা আরও উৎসাহিত হবো। এমন কথা আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম। এখন এটার বাস্তবায়ন হলে সবার জন্য ভালো হবে।’
বেতন কাঠামোর ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে জাতীয় দলের মোট ৩০ জন খেলোয়াড়কে উক্ত কাঠামোর আওতায় আনা হবে।প্রথম ১৫ জন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে,এরপরের ১০ জন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং সর্বশেষ ৫ জন ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকবেন।জাতীয় দলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স উপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হবে।’