বিশ্বব্যাপী আবারো বাড়ছে কারোন সংক্রমণে হার। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর পথে অভিযাত্রীদের মিছিল। এই মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার আগামী ১লা জুন থেকে সারাদেশে আবারো কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। নিষেধ রয়েছে স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষেত্রেও। এতে বিপাকে পড়েছে দেশের ঘরোয়া ফুটবল। ঢাকার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে প্রিমিয়ার লীগের সব ম্যাচ।
করোনার কারণে গত প্রিমিয়ার লীগ পরিত্যাক্ত হয়েছিলো তাই এবার যাতে প্রিমিয়ার লীগসহ অন্যসব খেলা পরিত্যক্ত না হয়, তাই সরকারের কাছে আরজি পেশ করেছে বাফুফে। তারা চাচ্ছে কঠিন বিধিনিষেধ অবলম্বন করে যেনো লীগ পরিচালনা করতে পারে।
এছাড়াও সামনে কুরবানির ঈদ, রয়েছে এএফসি কাপের ম্যাচ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্যে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করতে হবে প্রিমিয়ার লীগ। তাই এখন যদি লীগ স্থগিত করা হয় তাহলে বাফুফের পক্ষে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে লীগ শেষ করা কখনোই সম্ভব হবে নাহ।
বর্তমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগসহ বাফুফের অধীনে চলমান রয়েছে নারী ফুটবল লীগ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ, তৃতীয় বিভাগ ফুটবলের সুপার লীগও। লীগগুলোর প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠিন বিধিনিষেধ মেনে। পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে বিধিনিষেধ আরো কঠিন করে লীগ পরিচালনার চেষ্টা করছে বাফুফে।
আজ(মঙ্গলবার) ঘরোয়া লীগ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। এই বিষয়ে মো. আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা খেলা চালিয়ে যেতে পারব কি না সরকারের সেই সিদ্ধান্ত জানতে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আশাবাদী। এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়’।