শেষ পর্যন্ত মোহামেডানেও ঠাঁই হয়নি রবিউল হাসানের। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরামবাগের হয়ে দূর্দান্ত পারফর্ম করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকায় বসুন্ধরা কিংসে নাম লিখিয়েছিলো এক সময়কার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ রবিউল হাসান। তাকে ঘিরে অনেক সমর্থকই স্বপ্ন দেখছিলো। কিন্তু নিজের ও সমর্থকদের সকল আশা ভঙ্গ করে অনিয়ন্ত্রিত জীবনের কাছে পরাজিত হলো রবিউলের ফুটবল শৈলি।
বসুন্ধরা কিংসে যোগ দেয়ার পরই মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়ে রবিউল। অনেকেই বসুন্ধরার স্কোয়াডে তারকা খেলোয়াড়ের সমারহকেই এর কারণ মনে করলেও পরবর্তীতে জানা যায় আসল কারণ। কোচ ও ক্লাব কর্তারা জানান তার অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই দলে না থাকার মূল কারণ। কিংস কোচ অস্কার তাকে অনেকবার সতর্ক করলেও লাভ হয়নি।
এরপর মধ্যবর্তী দলবদলে রবিউলকে দলে ভেড়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দল বদল করে কয়েক ম্যাচ মাঠে নামতে আগের রবিউলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ ঐ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। মোহামেডান ক্লাব তাকে তিনবার শোকজ নোটিশ দিলেও কাজ হয়নি। ফলে তাকে বিদায় করতে বাধ্য হয় ক্লাব।
রবিউলের বিষয়ে মোহামেডান ক্লাবের দল নেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স অফসাইডকে ফোনে জানান,
‘ডিসিপ্লিন ভঙ্গের কারনে ওকে(রবিউল) ক্লাব থেকে রিলিজ করে দিয়েছি। ও কোন ডিসিপ্লিন মানেনা। টাইমমত খাওয়াদাওয়া করেনা, প্র্যাকটিসে আসেনা। আমাদের ক্লাবে ডিসিপ্লিন আগে মানতে হবে । ও তিন বার ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করেছে, তাই ওকে আর রাখা সম্ভব নয়।’