বাংলাদেশে ফুটবল একাডেমী চালু হলেও,কখনো পূর্ণতা পায় নি। সিলেটে ও ফর্টিস গ্রাউন্ডে দুইবার একাডেমির কার্যক্রম শুরু করেও তা চালু রাখতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন৷ তৃতীয়বারের মতো ফিফার সহায়তায় কমলাপুরে আবারো একাডেমির কার্যক্রম শুরু করেছে ফেডারেশন।
আরো আগেই একাডেমির কাজ শুরু করতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় করোনা মহামারি। লকডাউন তুলে দিয়ে সবকিছু শিথিল করে দেওয়ার পর গতকাল ৪৭ জন ফুটবলার কমলাপুর স্টেডিয়ামের ডরমিটরিতে উঠানো হয়েছে। আগামীকাল করোনা পরিক্ষার পর ১৬ জুলাই থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
এই প্রসঙ্গে বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘আমরা অনুশীলন শুরু করে দিবো কয়েকদিনের মধ্যে। শোকের মাস তাই এই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে না। ১লা সেপ্টেম্বর বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবো।’
সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪৭ জন ফুটবলার জায়গা পেয়েছে কমলাপুরের ফুটবল একাডেমীতে। ৪৭ ফুটবলারের মধ্যে গোলকিপার রয়েছে ৪ জন।বাছাই করার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার ও বাফুফে গোলরক্ষক কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘বাছাই খুব ভালো হয়েছে। শারীরিক,মানসিক ও ফুটবল স্কিল বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় এরা আন্তর্জাতিক পর্বে এরা ভালো কিছু করবে।’ একাডেমীতে গোলরক্ষক কোচসহ বাফুফের মোট পাঁচজন কাজ করবে। একাডেমীর পুরো প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন ইংরেজ ট্যাকনিকেল ডিরেক্টর পল স্মলি।