শুরুতে লিড নিয়েও পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেলো না বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। আজকের দিনের একমাত্র ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটে প্রথম গোলের দেখায় পায় আবাহনী। মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের নেওয়া ফ্রি কিকে হেড করে দলে অধিনায়ক দিদিয়ের। বিপক্ষ দলের গোলরক্ষক সুজন হোসেন ডাইভ করেও বলকে জালে জড়ানো থেকে রুখতে পারেন নি।
২২ মিনিটে সমতায় ফেরে মোহামেডান। শাহেদ হোসেনের কর্ণার কিক থেকে হেডে গোল করেন জাফর ইকবাল। কিন্তু সমতা বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারে নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মিনিট দুয়েক পর আবারো ম্যাচে লিড নিয়ে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেনের ভুলে গোল কিকে বল পেয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। সেখান থেকে সতীর্থের হেডে বল পায় আবাহনীর অধিনায়ক দিদিয়ের। দিদিয়ের বল বাড়ায় চিনেদু ম্যাথিউর কাছে। চিনেদু শট নিয়ে বল জালে জড়ান।
৩৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ হাত ছাড়া করে মোহামেডান। মোহামেডান ডিফেন্ডার কামরুল ইসলাম ফ্রি কিক নিলে আবাহনীর বক্সের ভিতরে কিছুটা জটলার সৃষ্টি হয়। বক্সের ভিতরে আবাহনীর ডিফেন্ডার শওকত রাসেল হাতে বল লাগলে পেনাল্টি বাঁশি বাজায় রেফারী। মোহামেডান অধিনায়ক সলেমান দিয়াবাতে স্পট কিক নিলেও বাম পাশে ঝাপিয়ে পড়ে বল রুখে দেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম। এতে করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধের চেষ্টা চালায় মোহামেডান। অবশেষে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে আবারো সমতায় ফেরে সাদা-কালো শিবির। শাহেদ হোসেনের কর্ণার কিক প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করে দেন। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে থেকে বদলি হিসেবে নামা আমির হাকিম বাপ্পির নেওয়া লং রেঞ্জ শট কেউ ঠেকাতে পারে নি। এরপর সময়গুলোতে আর কোনো দল গোল করতে না পারায় দুইদলকে এক পয়েন্ট নিয়ে খুশি থাকতে হয়।
এই ম্যাচ শেষে ২৩ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থতে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। অন্যদিকে এক ম্যাচে কম গেলে ২২ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।