এএফসি কাপ ২০২১ এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসি’র সাথে গোল শূন্য ড্র করে নিজেদের এগিয়ে যাওয়ার মিশন কঠিন করলো বসুন্ধরা কিংস। এই ড্রয়ে আপাতত গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও কয়েক ঘন্টা পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মালদ্বীপের জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো করেছিলো কিংস। আক্রমন চালিয়ে কয়েকদফা পরীক্ষায় ফেলে ব্যাঙ্গালুরুর ডিফেন্সকে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে জনাথনের দুর্দান্ত শট দারুণ দক্ষতায় সাথে গোলরক্ষক গুরপ্রীত ফিরিয়ে না দিলে এগিয়ে যেত পারতো কিংস। প্রথমার্ধে এরপর আর বলার মতো আক্রমন চালাতে পারেনি কোন দলই। কিংসের বিপলু ও সুফিল এক প্রকার নিষ্ক্রিয়ই ছিলো। এছাড়াও মাঠে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না ফরোয়ার্ড রাউল ব্যাসেরাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে কিংস। সুফিলের পরিবর্তের ইব্রাহীম মাঠে নেমে কয়েকদফা ব্যাঙ্গালুরুর বক্সে বল ফেলেন, তবে তা থেকে গোল করার মতো কাউকেই পাননি তিনি। ম্যাচে ৭০ মিনিটে কিংস পায় সবচেয়ে ভালো সুযোগ। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ডুকে পড়েন রবসন। তবে শরীরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ছিলো না তার। এরপরও শট নিয়ে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিলেন। গোলরক্ষক গুরপ্রীতে পায়ে লেগে জালে দিকে উড়ে যাওয়া বল বাইসাইকেল কিক দিয়ে বের করেন ভারতের ক্লাবটির এক ডিফেন্ডার। এরপর আরেকদফা বল গোল হওয়া থেকে সরিয়ে দেন গুরপ্রীত।
এরপর চিত্রনাট্য পাল্টে যায়। একের পর এক আক্রমন চালাতে শুরু করে ব্যাঙ্গালুরু। কঠিন শেষের ২০ মিনিট কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় কিংস ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে। কয়েকদফা বল ঠেকিয়েছেন জিকো। পাশপাশি বিশ্বনাথ, তারিক, তপু, খালিদদের দক্ষতায় গোল বঞ্চিত থাকে ব্যাঙ্গালুরু। এক পর্যায়ে একটি বল কিংসে পোস্টে লেগে গোল লাইনে পড়লে গোলের দাবি জানায় ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা। তবে তা নাকচ করে দেন রেফারি। এএফসি কাপে গোল লাইন প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি রেফারিদের কাছে।
তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। কিন্তু এই ড্র কিংসকে ফেলে দিলো কঠিন হিসাবে। আজকের দ্বিতীয় ম্যাচে এটিকে মোহান বাগান স্বাগতি ক্লাব মাজিয়াকে পরাজিত করলে শেষ ম্যাচের জয়ের বিকল্প থাকবে না কিংসের সামনে। শক্তিশালী মোহন বাগানের সাথে জয় পাওয়া কঠিন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না, তবে ফুটবলে কিছুই অসম্ভব নয়। তাই শেষ পর্যন্ত আশায় বুক বেঁধে রাখবে কিংসের সমর্থকরা।