আসন্ন এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অংশ নিবে বাংলাদেশ। টুর্ণামেন্টে গ্রুপ ‘জি‘ তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইরান ও জর্ডান। কিন্তু তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে নেপালের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

কোভিড পরিস্থিতিতে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নেপালের উদ্দেশ্য যাত্রা করবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে চার্টাড বিমানে করে নেপালের রাজধানীর কাঠমুন্ডুতে পৌঁছাবেন বাংলাদেশ দল। নেপালের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ শেষে উজবেকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে তারা।

বহুদিন পর চার্টাড বিমানে যাত্রা করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। চার্টার্ড বিমান যাত্রা সম্পর্কে বাফুফে মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মহিলা ফুটবলকে গুরুত্ব দিচ্ছি। করোনার মধ্যে ম্যাচ খেলা এবং ফ্লাইট শিডিউল মেলানো খুবই কঠিন। নেপালের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজন করেছি। স্বাভাবিক ফ্লাইট না থাকায় চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছে দল। ওয়ান ওয়েতে স্বাভাবিকের চেয়ে আমাদের প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি খরচ হচ্ছে।’

যাত্রা পথে বাংলাদেশ দলকে তুরস্ক হয়ে উজবেকিস্তান পৌঁছাতে হবে। তুরস্কে বাংলাদেশ দলের যাত্রা বিরতি ১০ ঘন্টারও বেশী। ১০ ঘন্টার এই যাত্রা বিরতি নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা মহিলা ফুটবলকে গুরুত্ব দিচ্ছি। করোনার মধ্যে ম্যাচ খেলা এবং ফ্লাইট শিডিউল মেলানো খুবই কঠিন। নেপালের সঙ্গে ম্যাচ আয়োজন করেছি। স্বাভাবিক ফ্লাইট না থাকায় চার্টার্ড ফ্লাইটে যাচ্ছে দল। ওয়ান ওয়েতে স্বাভাবিকের চেয়ে আমাদের প্রায় তিন গুণের কাছাকাছি খরচ হচ্ছে।’


প্রায় দুইবছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলছে বাংলার বাঘিনীরা। কারোনার কারণে দুই বছর ধরেত তেমনভাবে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলতে পারে নি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে অংশ নিতে না পারলেও,গত দুই অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী ঘরোয়া লীগ। তবুও গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা নেপাল ও এএফসির বাছাইপর্বে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করবে না বলে মনে করছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে আমাদের ঘরোয়া লিগ ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে পার্থক্য অনেক। গত দুই বছর আমরা লিগ খেললেও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচ হয়েছে তিন-চারটি। এশিয়ান কাপের আগে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনও এই দুইটি প্রীতি ম্যাচকে বেশ গুরুত্বের সাথেই দেখছে। তিনি বলেন, ‘এই দুই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা ভুল ত্রুটিগুলো শোধরাতে পারব।’ ভারতে অনুষ্ঠিত এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে জর্ডান ও ইরানকে হারাতে হবে। যা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ বলা চলে। চ্যালেঞ্জিং হলেও কোচ ছোটন এই সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা ভালো ও পজিটিভ ফুটবল খেলব। তারা আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। টেকনিক্যালি, টেকটিক্যালি আমরা খুব পিছিয়ে থাকব না।’

গত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে খেলা দল থেকে মাত্র দুইটি পরিবর্তন হয়েছে এবারের নেপাল ও এএফসি নারী এশিয়ান কাপ মিশনে গোলরক্ষক সাথী বিশ্বাস ও ডিফেন্ডার নাসরিন আক্তার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।

Previous articleখেলোয়াড়দের নজর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ ঘিরেই
Next articleকিরগিস্তানে বাংলাদেশী সমর্থকদের গ্যালারীতে চান জামাল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here