ত্রিদেশীয় কাপ ২০২১ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। আজ রাত সাড়ে ৮ টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
পরিসংখ্যান বিচারে ফিলিস্তিনের থেকে বহু ক্রোশ দূরে বাংলাদেশ। র্যাংকিং ও সামর্থ্যের দিক দিয়েও রয়েছে দূরত্ব। মুখোমুখি দেখায় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে তেমন কোনো সুখ স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। একমাত্র সুখ স্মৃতি বলতে শুধুমাত্র ২০০৬ সাল এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। সেই ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে ছিলো বাংলাদেশ। এরপরের গল্প শুধু ব্যর্থতা আর হতাশার। ২০০৬ সালে চ্যালেঞ্জ কাপের পর ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুইদল। সেই ম্যাচেও ২-০ গোলে বাংলাদেশের হার। ২০১৩ সালের চ্যালেঞ্জ কাপেও ১-০ হারের ফলে নিজেদের দুর্ভাগ্য খণ্ডাতে পারে নি বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালের বঙ্গবন্ধু কাপেও যেনো একই পরিণতি। সেমিফাইনালে নিজেদের সেরাটা দিয়েও ২-০ তে পরাজিত হয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
২০২০ আবারো বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই নিষ্ফল লড়াই, সেই ব্যর্থতা ও হার যেনো জেকে বসেছে টাইগারদের ঘাঢ়ে। সেই ম্যাচেও আগের বারের মতো ২-০ জয় পায় ফিলিস্তিন। এতসব ব্যর্থতার মাঝেও একটু আশার আলো রয়েছে। ফিলিস্তিন নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কিরগিজস্তানের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে। ম্যাচে একক রাজত্ব করেছে কিরগিজস্তান। কিরগিজস্তানের বিপক্ষে তেমন ভালো না খেললেও জেমি ডে’র চোখে যথেষ্ট শক্তিশালী দল ফিলিস্তিন। তিনি বলেন, ‘ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল এবং শারীরিক দিক দিয়েও বেশ এগিয়ে আমাদের চেয়ে। এটা তাই কঠিন একটা ম্যাচই হতে যাচ্ছে। খেলোয়াড়দের জন্যও তাই ভালো একটা পরীক্ষা।’
এবারের লড়াইয়েও নিজেদের সবকিছু দিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত জেমি ডে’র শিষ্যরা। এই প্রসঙ্গে দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার পুরোপুরি তৈরি লড়াইয়ের জন্যে।‘ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রাপ্তির চেয়ে লড়াইয়ের। কারণ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ অংশ নিবে বাংলাদেশ। তাই তিনজাতিক টুর্ণামেন্টের মূলত নির্বাচনী পরিক্ষাই বলা চলে বাংলাদেশের কাছে। সাফ ও তিনজাতিক টুর্ণামেন্ট সম্পর্কিত বিষয়ে কোচ জেমি ডে বলেন, ‘সেই আসরের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবে দেখছি আমরা এটিকে। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খেলার ধরন, কৌশল, ফরমেশনেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশই হবে এই টুর্ণামেন্ট।’